সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋণখেলাপীদের থেকে ঋণ (Loan) আদায় করার চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। উপায়ান্তর না দেখে নিজে ঋণ নিয়ে সেই টাকায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়েছিলেন এক ব্যাংক ম্যানেজার। কিন্তু তাঁর এহেন সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াল। কেননা এর ফলে জটিলতা আরও বাড়ছিল। ক্রমশ আর্থিক সমস্যায় ডুবে যাচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তিনি। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh)।
ঠিক কী হয়েছিল? রাজ্যের কাকিনাড়া জেলার পিথাপুরমের বাসিন্দা ভিসাপ্রাগাদা শ্রীকান্ত ছিলেন ইউকো ব্যাংকের (Bank) ইয়ানাম শাখার ম্যানেজার। তাঁর শাখায় ঋণ নিয়ে শোধ করছিলেন না বহু ব্যক্তিই। ফলে উপরমহলের চাপ বাড়ছিল। ক্রমশই অসহায় পড়ছিলেন তিনি। কেননা নানা চেষ্টাতেও ঋণখেলাপীদের থেকে কিছুই আদায় করতে পারছিলেন না।
[আরও পড়ুন: ফিরল তিন বছর আগের দুঃসহ স্মৃতি, মাঝরাতে ফের বউবাজারে একাধিক বাড়িতে ফাটল]
অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি পরিকল্পনা করেন শ্রীকান্ত। তিনিও ব্যাংক থেকে মোটা অংকের ঋণ নেন। তারপর সেই টাকা জমা দিয়ে ঋণ আদায়ের অংককে কমানোর চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু এতে বিপদ আরও বাড়ে। উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা সুদের হারের ধাক্কায় ক্রমেই পরিস্থিতি তাঁর হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। সংসার চালাতেও খুব অসুবিধা হচ্ছিল। অনেক চেষ্টা করেও তিনি বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না।
শেষ পর্যন্ত ঋণ আদায় করতে না পারার জ্বালা ও আর্থিক দুরবস্থার যুগ্ম চাপে অবসাদে ভুগতে শুরু করেন শ্রীকান্ত। ক্রমেই অবসাদে ডুবে যান তিনি। কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। একা থাকতে চাইতেন। এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ব্যাংক ম্যানেজার। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।