shono
Advertisement

অর্থের বিনিময়ে কেজরিওয়ালের প্রশংসা নিউ ইয়র্ক টাইমসের, অভিযোগ বিজেপির, পালটা দিল সংবাদপত্র

২০২৪ সালে কেন্দ্রে মোদির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেজরিওয়ালই, দাবি আপের।
Posted: 02:38 PM Aug 20, 2022Updated: 02:38 PM Aug 20, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) বাড়িতে সিবিআই হানার পর থেকে আপ বনাম বিজেপির যে বাগ-যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তা নতুন মাত্রা পেল। টাকার বিনিময়ে দিল্লি সরকারের প্রশংসা করার অভিযোগ খারিজ করে বিজ্ঞপ্তি দিল নিউ ইয়র্ক টাইমস। বিখ্যাত সংবাদপত্রটি দাবি করেছে, নিরপেক্ষ এবং বাস্তবসম্মত গবেষণার ভিত্তিতেই দিল্লি সরকারের শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করেছে তাঁরা।

Advertisement

শুক্রবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়ার বাড়িতে একাধিক অভিযোগে তল্লাশি চালায় সিবিআই (CBI)। যা নিয়ে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায় আপ এবং বিজেপির মধ্যে। আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেন, শুক্রবারই দিল্লির শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করে প্রতিবেদন পেশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস (New York Times)। বিশ্বের দরবারের ভারতের সম্মান বাড়িয়েছে দিল্লি। সেই সাফল্য সহ্য করতে না পেরেই ‘উপহার’ হিসাবে মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi)।

[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে পুলিশের রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা, গুলিতে নিকেশ লস্কর জঙ্গি]

দ্রুত বিজেপি পালটা আসরে নামে। বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য দাবি করেন, কেজরিওয়াল সরকারি অর্থ খরচ করে নিজের বিজ্ঞাপন করছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেটি আসলে অর্থের বিনিময়ে করা বিজ্ঞাপন। দিল্লি বিজেপির প্রথম সারির নেতা মনোজ তিওয়ারিও একই দাবি করেন। এরপরই সংবাদসংস্থা পিটিআই নিউ ইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংবাদসংস্থার প্রশ্নের জবাবে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়ে দেয়, তাঁদের সাংবাদিকতা সবসময় নিরপেক্ষে এবং পক্ষপাতহীন। কোনওরকম বিজ্ঞাপনদাতাদের বা রাজনৈতিক চাপের মুখে কোনও প্রতিবেদন নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশ করা হয় না। এক্ষেত্রেও হয়নি।

[আরও পড়ুন: খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন, আরও ১৪ দিন জেলেই থাকতে হবে ‘অপা’কে]

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই বিবৃতির পরই পালটা আসরে নামে আম আদমি পার্টি। খোদ সিসোদিয়া এদিন দাবি করেছেন, হাই কম্যান্ডের নির্দেশে সিবিআই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। কারণ ওরা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) কাজকে ভয় পায়। আজ দিল্লি সরকারের প্রশংসা গোটা বিশ্ব করছে। সেকারণেই ভয় পাচ্ছে বিজেপি। ওরা বুঝতে পেরেছ ২০২৪ সালে কেন্দ্রে মোদির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেজরিওয়ালই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement