পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন সমাজসেবী সংঘের পুজো প্রস্তুতি৷
শুভময় মণ্ডল: দিনরাত চলমান তিলোত্তমা। কল্লোলিনীকে সচল রাখতে যাঁদের অবদান অনস্বীকার্য, তাঁরা হলেন সমাজের শ্রমজীবী মানুষ। কলকাতাতেই তাঁরা দিনরাত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাঁরা। অল্প পরিসরের মধ্যেই তাঁদের জীবনযাপন। দিন আনা দিন খাওয়া সেই মানুষগুলোর দুঃখের অন্ত নেই। তবুও মুখে হাসি নিয়ে তাঁরা আমার-আপনার সেবায় নিয়োজিত। এবার দুর্গাপুজোর থিমের মাধ্যমে সেই শ্রমজীবী মানুষদের কুর্নিশ জানাচ্ছে সমাজসেবী সংঘ। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত এই পুজোয় সেই শ্রমজীবী মানুষদের কথাই উঠে আসবে বিষয় ভাবনার মধ্যে দিয়ে। ভাবনা ও রূপায়ণে শিল্পী প্রদীপ দাস। থিমের পোশাকি নাম- ‘কুর্নিশ’।
[আরও পড়ুন: ‘প্রতিচ্ছবি’তেই সর্বত্র বিরাজমান উমা, সন্তোষপুরের এই মণ্ডপে থাকছে বিশেষ চমক ]
স্যাকরার দোকানে ঘাড় গুঁজে কাজ করা স্বর্ণকাররা, সেলুনের নাপিত, মিষ্টির দোকানের কারিগরদের আমরা দেখি প্রতিনিয়ত। কেউ ভিনরাজ্য থেকে বা অন্য জেলা থেকে রুজিরুটির টানে কলকাতায় আসেন। কিন্তু কীভাবে তাঁরা দিনপাত করে তা অনেকেরই অজানা। এ কলকাতার মাঝে আরেকটা কলকাতায় তাঁরা বাস করেন। আলো-বাতাসহীন ঘুপচি ঘর, তেলচিটে মেঝেই তাঁদের কাছে স্বর্গ, ভাঙা টিনের-অ্যাসবেসটসের চালের ফাঁক দিয়ে রাতের তারাভরা আকাশই সর্বসুখ তাঁদের কাছে। এহেন মানুষদের স্বীকৃতির দেওয়ার কথা ভাবেনি কেউ-ই। এবার তাঁদের কথা ভেবেছে সমাজসেবী সংঘ। বরাবরই ছকভাঙা বিষয়-ভাবনা নিয়ে পুজোর শহরে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সমাজসেবী। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না, তা বলাই বাহুল্য।
মণ্ডপসজ্জায় শ্রমজীবী মানুষদের কথাই ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী। সেই পাড়ার সেলুন, স্যাকরার দোকান, হারিয়ে যাওয়া পিসিও বুথ, ওয়েল মিলের টিনের ডিব্বা, সেসবই মণ্ডপে প্রত্যক্ষ করবেন দর্শনার্থীরা। তেলচিটে গন্ধও নাকে আসবে মণ্ডপে ঢুকলে। মণ্ডপে ঢোকার মুখেও শ্রমজীবী মানুষদের জীবনযাপন চাক্ষুষ করবেন দর্শনার্থীরা। প্রতিমা গড়ছেন মৃৎশিল্পী পিন্টু শিকদার। শ্রমিকদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত জিনিস দিয়েই মৃন্ময়ীর আভরণ করেছেন শিল্পী। আবহ সংগীত দীপময় দাসের।
[আরও পড়ুন: ‘নবরস’-এর নবধারায় সেজে উঠছে হিন্দুস্থান পার্ক সর্বজনীন]
গতবছর পুজোয় সমাজসেবীর থিম ছিল ‘স্পর্শ’। এই থিমের মাধ্যমে দৃষ্টিহীন মানুষদের আলোর দিশা দেখিয়েছিল তারা। মূলত দৃষ্টিহীন মানুষদের জন্যই তাদের ভাবনা ছিল অনুভবের দুর্গাপুজো। এবার শ্রমজীবী মানুষদের কুর্নিশ কতটা মনে ধরে পুজোপ্রেমীদের সেটাই দেখার।
কীভাবে সেজে উঠছে মণ্ডপ, দেখুন প্রস্তুতির ভিডিও-
The post এবার পুজোয় সমাজের শ্রমজীবী মানুষদের কুর্নিশ জানাবে সমাজসেবী সংঘ appeared first on Sangbad Pratidin.
