সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। অথচ বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জটিলতা কিছুতেই কাটছে না। রাজ্যের দাবি মতো ৮২২ কোম্পানি বাহিনী আসার নিশ্চয়তা পাওয়া গেলেও তাঁদের মোতায়েন করা নিয়ে জটিলতা বেড়েই চলেছে। আসলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রতি বুথে একজন করে বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। অন্তত হাফ সেকশন বাহিনী মোতায়েন করতেই হবে।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি তাতে এক বুথে মাত্র একজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকতে পারে। বুথ দখল বা হিংসার ঘটনা ঘটলে একজন জওয়ানের পক্ষে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর। বৃহস্পতিবার রাতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটরের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (Raiva Sinha)। কিন্তু তাতে জটিলতা কাটেনি।
[আরও পড়ুন: চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রকে বেধড়ক মার, প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের হাতে আক্রান্ত সহকর্মীরাও, চাঞ্চল্য হুগলিতে]
আসলে বিএসএফ (BSF), আইটিবিপি-সহ সব বাহিনীর কর্তারা জানিয়েছেন, কোনও জায়গায় এক সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারে না। এক সেকশনের সদস্য সংখ্যা ১১ জন। ভোটের জন্য সেটাকে কমিয়ে হাফ সেকশন করা যেতে পারে মাত্র। হাফ সেকশনের সদস্য চার জন। অর্থাৎ প্রতি বুথে ন্যূনতম ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করতে চাইছেন বাহিনীর কর্তারা। আর তাতেই বাড়ছে জটিলতা।
[আরও পড়ুন: ‘চারদিকে বামেরা জিতবে’, মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন খোদ ‘রাজ্য সরকার’]
বৃহস্পতিবার কমিশনের (State Election Commission) দেওয়া হিসাব অনুযায়ী এবার মোট বুথের সংখ্যা ৬১,৬৩৬ হলেও ১০৪৩টি বুথে বিভিন্ন কারণে ভোট হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে ৬০,৫৯৩টি বুথে। ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে মোট জওয়ানের সংখ্যা ৮২ হাজারের আশেপাশে হবে। এ থেকে স্পষ্ট যে, সব বুথে কোনও মতেই চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য মোতায়েন সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জটিলতা আরও আছে। যে ৮২২ কোম্পানি বাহিনীর কথা বলা হচ্ছে, সেটাও এখনও পুরোপুরি রাজ্যে এসে পৌঁছায়নি। আদৌ তারা শনিবারের আগে এসে পৌঁছাবেন তো? সে প্রশ্নও থাকছে।