নিরুফা খাতুন: মাঝরাতে বড়সড় দুর্ঘটনা কলকাতায়। গার্ডেনরিচে (Gardenrich) নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে প্রাণহানি। সকাল পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর (Death) খবর মিলেছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। কারণ, ভেঙে পড়া বহুতলের নিচে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫। রাতভর চলেছে উদ্ধারকাজ। রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে দাঁড়িয়ে থেকে উদ্ধারকাজের তদারকি করেছেন। সঙ্গে ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও। সোমবার সকালে এনডিআরএফ-এর একটি দল এসেছে উদ্ধারকাজের জন্য। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সোশাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, বহুতলটি বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র। প্রোমোটারকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নং ওয়ার্ডের জে ৫১৩/৫, ফতেপুর ব্যানার্জি বাগান লেন। এখানেই একটি নির্মীয়মাণ বহুতল রবিবার মাঝরাতে আচমকা ভেঙে পড়ে। বহুতলের আশপাশে বসতিতে যে টালির বাড়ি ছিল, তা ভেঙে যায়। ওই ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন বসতির বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় দমকল ও পুলিশ। ভেঙে পড়া বহুতলের অংশ ও টালির ছাদের নিচে থেকে একে একে সকলকে উদ্ধার করা হয়। ১৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাঁদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃত একজনের নাম হাসিনা বিবি। অপরজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মেয়র জানিয়েছেন, ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে ভোট প্রচারে অনুমতি নয়! ‘খলিস্তানি’ মন্তব্যের প্রতিবাদে কমিশনে চিঠি শিখ সংগঠনের]
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় পুকুর বুজিয়ে বেআইনিভাবে ওই বহুতলটি তৈরি হচ্ছিল। সেই কারণেই এমন দুর্ঘটনা। এই অভিযোগ পেয়েই ফিরহাদ হাকিম প্রোমোটারকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বাম আমলকে তোপ দেগে তাঁর বক্তব্য, ”বাম আমল থেকেই এখানে বেআইনিভাবে নির্মাণ হচ্ছে। তৃণমূল সরকারে তা বন্ধ হলেও কোথাও কোথাও এসব চলছে।”