সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমুদ্রের নিচে লুকিয়ে হাজার-হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস। নীল স্ফটিক স্বচ্ছ জলে ডুব দিলেই মিলছে ইতিহাসের অতলে হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ। চোখের সামনে ভেসে উঠছে এথেন্স, স্পার্টার গৌরবময় দিন। চারপাশে ঘুরে বেড়াবে অসংখ্য মাছ, সামুদ্রিক প্রাণী। কিন্তু কোথায় মিলবে এমন সুযোগ?
পর্যটকদের জন্য এমন সুযোগ করে দিচ্ছে গ্রিস (Greece)। সমুদ্রের নিচে বানিয়ে ফেলেছে আস্ত একটা সংগ্রহশালা। আন্ডার ওয়াটার মিউজিয়াম (Undr Water Mueseum) বানিয়ে পর্যটকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভূমধ্যসাগরের পাশের রাষ্ট্র। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পরই দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এই মিউজিয়াম। তবে সেখানে যেতে গেলে পূরণ করতে হবে শর্ত। এই নিদর্শন দেখতে গেলে ডাইভিংয়ের মাধ্যমে জলতল থেকে ৮০ ফুট গভীরে পৌঁছতে হবে দর্শকদের। সেখানে থাকছে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরি গাইডরাও। সংগ্রহশালায় পৌঁছতে গেলে নিতে হবে ডুবুরি গাইডদের সাহায্য। তবে ডাইভিংয়ের কোর্স করা থাকলে সেই সার্টিফিকেট দেখিয়েই পৌঁছে যাওয়া যাবে সেই মিউজিয়ামে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: ডেল্টা স্ট্রেনের থাবায় আতঙ্ক Sikkim’এ, বন্ধ একাধিক পর্যটনস্থল]
খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩১-৪০৫ অব্দ, গ্রিসে তখন স্বর্ণযুগ। আর সেই সময়েই পেলোপনেশিয়ান যুদ্ধে সমুদ্রের তলায় তলিয়ে গিয়েছিল একটি প্রাচীন জাহাজ। ভূমধ্যসাগরের ডুবে থেকে প্রায় ২৪০০ বছরের সেই ধ্বংসস্তূপ ঘিরেই সম্প্রতি তৈরি হয়েছে একটি আন্ডার-ওয়াটার জাদুঘর। সেইসঙ্গে রয়েছে কোরাল-উদ্যানও। গত অক্টোবর মাসের শেষেই উদ্বোধন হয়েছিল এই মিউজিয়ামের। এবার দর্শকদের জন্যেও খুলে গেল এই জাদুঘর। ৯০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই জাহাজটি ছিল মাদক-পরিবাহী কার্গো। ডুবে যাওয়ার পরেও সেখানে প্রাচীন মাদকের বোতল এবং বিভিন্ন মাটির চেয়ার-টেবিল সংরক্ষিত রয়েছে এখনও।
এখনও অবধি মোট ৩০০ জন যাত্রী ঘুরে এসেছেন সেখানে। তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণেই এই মিউজিয়াম এখনও পর্যটনের মূল হটস্পট হয়ে উঠতে পারেনি। চলতি জুন মাস থেকে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে এই মিউজিয়াম। তবে জলে নামতে না চাইলেও বঞ্চিত থাকবেন না তাঁরা। থাকছে ২৪ ঘণ্টার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থাও। তবে সেই প্রক্রিয়া এখনও চালু হয়নি বলেই খবর।