সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে কাজ নেই। হতাশায় ভুগে আত্মহত্যা করলেন টেলিভিশন তারকা মনমীত গেরিওয়াল। সংসার চালানোর জন্য যৎসামান্য টাকাও তার কাছে ছিল না। এদিকে বাড়ি ভাড়া দিতে হত। খাবার জিনিসপত্র কিনতে হত, কিন্তু পকেটে টাকা কোথায়? হতাশা নিয়ে আর এঁটে উঠছিলেন না। রাতে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে রেখে ফাঁসিতে ঝুলে পড়লেন ৩২ বছর বয়সের মনমীত।
খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও ‘আদত সে মজবুর’, ‘কুলদীপক’-এর মতো ধারাবাহিকগুলির সুবাদে মনমীত গেরিওয়ালকে অনেকেই চিনতেন। শুক্রবার রাতে স্ত্রীর ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অভিনেতা। মনমীতের নবি মুম্বই-এর খারগর টাউনের ফ্ল্যাটেই এই ঘটনাটি ঘটেছে।
লকডাউনে কাজ না পেয়ে অভিনেতার আত্মহত্যা করার খবর মর্মান্তিক তো বটেই, কিন্তু এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, অভিনেতার স্ত্রী সাহায্যের জন্য গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার করলেও কেউ আসেননি সেই সময়ে মনমীতকে বাঁচাতে। কারণ, প্রতিবেশীরা সন্দেহ করেছিলেন অভিনেতা হয়তো করোনা আক্রান্ত। পাছে তারাও সংক্রামিত হয়ে পড়েন। তাই কেউই আর মনমীতের স্ত্রীর শত আকুতি মিনতিতেও দরজা খোলেননি।
[আরও পড়ুন: বলিউডে যেন মৃত্যুমিছিল, প্রয়াত ‘কাহানি ঘর ঘর কি’ খ্যাত অভিনেতা শচিন কুমার]
অভিনেতা মনমীতের বন্ধু মনজিৎ সিং জানিয়েছেন, ”শুক্রবার সন্ধেবেলা মনমীতের ব্যবহারে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। ও যখন ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে, তখন ওর স্ত্রী রান্নাঘরে ছিল। হঠৎই চেয়ার পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনে বেডরুমে ছুটে যায় ওর স্ত্রী। মনজিৎকে বাঁচানোর জন্য, প্রতিবেশীদের সাহায্য চেয়ে চিৎকার করতে থাকে। তবে অত চিৎকার সত্ত্বেও প্রতিবেশীদের কেউই সাহায্যের জন্য ছুটে আসেনি। শেষপর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীরা এসে উদ্ধার করে মনমীতকে ঝুলন্ত অবস্থায়। ওড়না কেটে মনমীতের দেহ নামায়। এরপরই নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান ও মারা গিয়েছে।”
পুলিশসূত্রে খবর, ”লকডাউনে কাজ না পাওয়ায় ও খুব সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। ওর হাতে সামান্য বাড়ি ভাড়া দেওয়ার টাকাও ছিল না। সোনার গয়না বন্দক রেখেছিল। ধার-দেনাও ছিল।” নভি মুম্বইতে স্ত্রীর সঙ্গে মনমীত একাই থাকতেন। বছর দুয়েক ওদের বিয়ে হয়েছে। ওর বাবা-মা থাকতেন পাঞ্জাবে দেশের বাড়িতে।
[আরও পড়ুন: যোগীর রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসে করে ফেরালেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ]
The post লকডাউনে কাজ নেই, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন টেলিভিশন তারকা appeared first on Sangbad Pratidin.