সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থনীতির ওপর করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব আশঙ্কার থেকেও অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। ফলে গত এপ্রিল ও মে মাসে বেকারত্বের (Unemployment) ভয়াবহ রূপ দেখেছিল দেশ। অবশেষে এবার কমতে শুরু করেছে সংক্রমণ। ফলে বহু রাজ্যেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিবেশ। লকডাউনের (Lockdown) পথ থেকে সরে আসা শুরু করেছে তারা। আর এর ফলে সামগ্রিক ভাবেই উন্নত হল পরিস্থিতি। গত মে মাসের শেষে যেখানে বেকারত্বের সাপ্তাহিক হার পৌঁছে গিয়েছিল ১০ শতাংশে, সেখানে এবার তা কমে দাঁড়াল ৮.৭ শতাংশে।
পরিসংখ্যান বলছে, শহরের থেকেও দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে গ্রামাঞ্চল। আসলে বহু রাজ্যই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বা ধাপে ধাপে তুলতে শুরু করেছে। তারই সুফল মিলছে। কলকারখানা কিংবা বেসরকারি সংস্থাগুলি ফের খোলায় কাজ পাচ্ছেন কর্মহীনরা।
মুম্বইয়ের সংস্থা ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’ জানাচ্ছে গত সপ্তাহের শেষে শহরে বেকারত্ব হার পৌঁছেছে ৯.৭ শতাংশ। সেখানে গত মাসের শেষে তা পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় ১৮ শতাংশে। এদিকে গ্রামে যেখানে মাসিক বেকারত্বের হার ১০.৬৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছিল, তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮.২৩ শতাংশে।
[আরও পড়ুন: করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দেশে প্রথম মৃত্যু, নিশ্চিত করল কেন্দ্র]
তবে বেকারত্বের হার কমতে শুরু করলেও এখনও পরিস্থিতি ভাল নয়। যদিও সামগ্রিক ভাবে ২০২০ সালের দেশব্যাপী লকডাউনের সময়ে বেকারত্বের হার যে জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, এবার পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক ভাল। কিন্তু তবুও দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বহু লোক কাজ হারিয়েছেন। কেবল মে মাসেই ৭০ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়েছে।
সামগ্রিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অর্থনীতিও। মুখ থুবড়ে পড়েছে জিডিপি। সব ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ ঠেকেছে তলানিতে। সবমিলিয়ে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের আশা কার্যত ছেড়েই দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে সংক্রমণের হার কমতে শুরু করায় ও জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে আরম্ভ করার ফলে বেকারত্ব কমতে শুরু করেছে। তাতে অন্তত সাধারণ মানুষের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফোটার পরিস্থিতি তৈরি হল।