সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থনীতির ওপর করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব আশঙ্কার থেকেও অনেক বেশি। ফলে মে মাসে বেকারত্বের হার (Unemployment rate) আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অধিকাংশ রাজ্যেই পূর্ণ অথবা আংশিক লকডাউন চলছে। প্রয়োজনীয় বা জরুরি নয়, এমন সব দোকান-বাজারই কার্যত বন্ধ। বহু ক্ষেত্রে বন্ধ উৎপাদনও।
করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা ঠেকেছে তলানিতে। ফলস্বরূপ বছর ঘুরতেই আবার বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি ব্যবসায়ীদের বড় অংশ। এই ব্যবসাগুলির সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িতদের অনেকেরই রোজগার বন্ধ। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হতে পারেন মে মাসে। বেকারত্বের হার হতে পারে গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
[আরও পড়ুন: কোভিড চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি নয়, জানিয়ে দিল কেন্দ্র]
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। তাই শহরের অর্থনীতির পাশাপাশি এবার গ্রামীণ অর্থনীতিতেও মন্দার ছোঁয়া। এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৮ শতাংশ। যা মার্চ মাসের থেকে ১.৫ শতাংশ বেশি। মে মাসে বেকারত্বের হার বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের। শহরের বেকারত্বের হার পৌঁছতে পারে ১০ শতাংশের কাছাকাছি।
করোনার বড়সড় ধাক্কা লাগতে চলেছে জিডিপি বৃদ্ধির হারেও। বিভিন্ন সংস্থার সমীক্ষা ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে যে সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল, তা ২.৮ শতাংশ পর্যন্ত কম হতে পারে। অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের যে আশা কেন্দ্র দেখেছিল এবং যে লক্ষ্যে লকডাউনকে শেষ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তাও ধাক্কা খেতে চলেছে ব্যাপক ভাবে। পর্যাপ্ত করোনা টিকার অভাব মানুষের মধ্যে তীব্র অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। ফলে প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ ঠেকেছে তলানিতে। সবমিলিয়ে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের আশা কার্যত ছেড়েই দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।