সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে হঠাত করে দেশের আইন ব্যবস্থার বহু প্রতীক্ষিত এই ‘সংস্কার’কে একেবারে মোক্ষম চালের মতো ব্যবহার করেছে বিজেপি। UCC ইস্যু হিসাবে উঠে আসতেই বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যেতে পারে বিরোধী শিবির।
কেন্দ্রীয় আইন কমিশনের একটি সার্কুলারে বুধবার সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আর সেটাই এখন জাতীয় রাজনীতির মূল ইস্যু। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের বক্তব্য, মূল ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে হঠাৎ ইস্যু করে তোলার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। জয়রাম রমেশের বক্তব্য, “আইন কমিশনের একটা ঐতিহ্য আছে। একটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যপূরণ আইন কমিশনের উদ্দেশ্য হতে পারে না। এটা আসলে বিজেপির বিচ্ছন্নতাবাদ এবং ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতিকে স্বীকৃতি দেওয়ার আরও একটা অপচেষ্টা মাত্র।”
[আরও পড়ুন: ভোটের আগেই জয়! রঘুনাথগঞ্জের ২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে]
শুধু কংগ্রেস এক নয়, দেওয়ানি বিধি নিয়ে কেন্দ্র যে নতুন করে চেষ্টা শুরু করেছে সেটার বিরোধিতা করেছে তৃণমূল, জেডিইউ, আরজেডি, বামদলগুলিও। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন অভিযোগ করছেন, মোদি সরকার কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি, তাই মরিয়া হয়ে ২০২৪-এর আগে বিভাজনের রাজনীতি উসকে দিতে চাইছে। কিন্তু সমস্যা হল, এসবের মধ্যে বিরোধী শিবিরে ভিন্নমত আছে। যেমন মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী উদ্ধব ঠাকরে বরাবর অভিন্ন দেওয়ানি বিধির সমর্থক। তিনি আবারও সেটার সমর্থনই করবেন। বিরোধী শিবিরের অন্যতম বড় শক্তি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও UCC’র সমর্থক। তাদের পক্ষেও এর বিরোধিতা করা কঠিন কাজ হবে।
[আরও পড়ুন: স্বস্তি সাক্ষী-বজরংদের, কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজ করছে দিল্লি পুলিশ]
বিরোধীদের বৈঠকের আগে তাই অভিন্ন দেওয়ানি বিধিই বিরোধীদের চিন্তার কারণ। পাটনায় বিরোধীদের ওই বৈঠকে একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলায় প্রার্থী দেওয়া নিয়ে আলোচনা হবে। সেই সঙ্গে আলোচনাসূচিতে উঠে আসতে পারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও। সেখানে ঐক্যমত না হতে পারলে, আগামী দিনে বিরোধীদের ঐক্যে চিড় ধরাতে পারে এই UCC।