সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর ১৪ মাস পর লোকসভা নির্বাচন। যদিও আরেকটি বাজেট সেশন আসবে। কিন্তু সেটা ভোট অন অ্যাকাউন্ট। তাই এবারের বাজেট কেমন হয় সেদিকে নজর ছিল সকলের। এই আবহেই বুধবার সকালে চলতি আর্থিক বছরের বাজেট (Union Budget 2023) পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)।
বাজেটে পেশ হওয়ার পর কী প্রতিক্রিয়া রাজনীতিবিদদের? স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির নেতানেত্রীরা বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করলেও বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছেন। এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটকে ‘গরিব-বিরোধী বাজেট’ বলে আক্রমণ করেছেন। বুধবার বোলপুরে এক জনসভায় মমতা বলতে শোনা গিয়েছে, ”বাজেট না অন্য কিছু! মুখে বলা হচ্ছে দারুণ নাকি বাজেট হয়েছে। কী দারুণ? একটা কথা বেকারদের জন্য বলা নেই। সব বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।” তিনি দাবি করেন, চলতি আর্থিক বছরের বাজেট ”ফরচুনিস্টিক নয় অপরচুনিস্টিক।” তাঁর কথায়, ”এই বাজেটে আশার আলো নেই। অমাবস্যার অন্ধকার আছে। অ্যান্টি-পুওর বাজেট।” তাঁর দাবি, আধঘণ্টা সময় দিলে গরিব মানুষের বাজেট করে দেখাতেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বারবার জমা দিতে হবে না কেওয়াইসি! ব্যবসায়ীদের একমাত্র পরিচয়পত্র হচ্ছে প্যান কার্ড]
একই মত কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশেরও। তিনি জানাচ্ছেন, ”আদানিদের স্বার্থই দেখা হয়েছে এবারের বাজেট। এই বাজের কর্পোরেটমুখী বাজেট।” জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মতে, গত ৮-৯ বছর ধরে যেমন বাজেট হচ্ছে তেমন বাজেটই এবারও পেশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ”কল্যাণ প্রকল্পগুলি ও ভাতার অঙ্কে খরচ করা হচ্ছে না।” এদিকে আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, এবারের বাজেটে কৃষক ও সেনা জওয়ানরা ব্রাত্যই থেকে গিয়েছেন। বিরোধীদের এই ধরনের সমালোচনার পাশে কিঞ্চিৎ ভিন্নসুর কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের। বাজেটে বেশকিছু ভাল বিষয় রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। তবে মূল প্রশ্নের জবাব অধরা রইল বলেও দাবি তাঁর।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবারের বাজেটকে ‘মধ্যবিত্তের সুবর্ণ সুযোগ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর দাবি, এবারের বাজেটে নারীশক্তির উপরে ফোকাস করা হয়েছে। পাশাপাশি তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের মতে, এই বাজেটে স্বস্তি পাবে আমজনতা। যেভাবে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষ সুবিধা পাবেন। এমনই প্রশস্তি শোনা গিয়েছে বাকি গেরুয়া শিবিরের নেতাদের মুখেও।