দেব গোস্বামী, বোলপুর: ফলক কাণ্ডে বড় ধাক্কা বিশ্বভারতীর। চাপের মুখে বিতর্কিত ফলক সরানোর নির্দেশ দিল শিক্ষামন্ত্রক। নতুন ফলকে থাকবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। যার জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রকের নির্দেশে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, আবাসিক সকলে খুশি।
বারবার বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী। বিগত কিছুদিন ধরে চর্চায় ফলক। ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া শান্তিনিকেতনের নামফলকে ছিল না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) নাম। কিন্তু ছিল প্রধানমন্ত্রী ও উপাচার্যের নাম। তা নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। পালটাও দিয়েছিল বিশ্বভারতী। জল গড়িয়েছিল অনেকদূর। অবশেষে ফলক কাণ্ডে ধাক্কা খেল ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয়।
[আরও পড়ুন: কোলে বসিয়ে মোবাইল চার্জ, বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন অণ্ডকোষ]
শিক্ষামন্ত্রকের তরফে এবার সাফ জানানো হল, অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে এই ফলক। নতুন ফলকে কী লেখা হবে, তার বয়ানও পাঠানো হয়েছে বলেই খবর। এখানেই শেষ নয়, দ্রুত গতিতে ফলক বদলের জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন ৪ জন বিভাগীয় প্রধান ও ২ জন ইসি সদস্য। এই ৬ জনের মধ্যেই রয়েছেন উপাচার্যও। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষের পরই শিক্ষামন্ত্রকের তরফে ফলক সরানোর এই নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। এদিকে শিক্ষামন্ত্রকের নির্দেশে খুশি বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, আবাসিক, এলাকার বাসিন্দা ও রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বিশ্বভারতীতে ফলক নিয়ে যা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এর প্রতিবাদ করেছেন। কেন্দ্র এখন যত দ্রুত সম্ভব ফলক সরাক সেটাই কাম্য।” পাশাপাশি ফলক কাণ্ডে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।