সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আলওয়ারে গণপিটুনিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুতে এবার লাগল রাজনৈতিক রং। রাজস্থানে গরু পাচারকারী সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে গণপিটুনির শিকার হতে হয়। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা যাতে কমে যায়, তার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় আকবর খান নামে এক ব্যক্তি গণপিটুনিতে মারা যান। তিনি রাকবর নামেও পরিচিত ছিলেন। এছাড়া এপ্রিল মাসে একটি ডেয়ারি ফার্মের মালিক পেহলু খানকেও মেরে ফেলা হয়। তিনি গরু পাচার করতেন বলে সন্দেহ ছিল এলাকাবাসীর। সেই কারণেই তাঁকে প্রহার করে জনতা। আকবরের বন্ধু আসলামের উপরও একই অভিযোগ ওঠে। কারণ তিনি রাতে দু’টি গরু নিয়ে হরিয়ানার মেওয়াটে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁকে লালওয়ান্ডি গ্রামের সামনে আটকে দেওয়া হয়। সেখানেই তাঁর উপর আক্রমণ চালায় জনতা। কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি।
[ কাশ্মীরের কুলগামে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ ৩ জঙ্গি ]
ঘটনার তুমুল সমালোচনা করে কংগ্রেস। রাজস্থানের কংগ্রেস প্রধান শচীন পাইলট বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে স্রেফ সন্দেহের বশে এভাবে গণপিটুনিতে হত্যা দুঃখজনক। এই নিয়েই প্রশ্ন করা হয় বিজেপির মন্ত্রী মেঘওয়ালকে। তিনি বলেন, যেহেতু মোদির জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে, তাই এমন ঘটনা ঘটছে। এই কথার সমর্থনে বিহার নির্বাচনের কথাও তোলেন তিনি। বলেন, যখন বিহারে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল তখন অ্যাওয়ার্ড ওয়াপসির মতো ঘটনা ঘটেছিল। আর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের সময় গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। এবার ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন আসছে। তাই এমন ধরনের অনেক ঘটনাই ঘটছে আর ঘটবেও। মোদিজি যে প্রকল্পগুলি এনেছেন, সেগুলি তৃণমূল স্তরে কিছু পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। তারই প্রতিক্রিয়া এটা।
[ সুখবর, জিএসটি থেকে ছাড় পাচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ]
তিনি এও বলেছেন, গণপিটুনি কখনওই কাম্য নয়। এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। তবে এমন ঘটনার একাধিক উদাহরণ যে ইতিহাসে রয়েছে, তা বলতেও দ্বিধা করেননি মেঘওয়াল। এনিয়ে কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেছেন তিনি। “১৯৮৪ সালে শিখদের সঙ্গে কী হয়েছিল? সেটা গণপিটুনির সবচেয়ে বড় উদাহরণ ছিল।” বলেছেন মন্ত্রী।
The post মোদির জনপ্রিয়তার কমাতেই গণপিটুনির ঘটনা, বিস্ফোরক মন্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.