সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নজিরবিহীন পদক্ষেপ টেলিকমমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর (Telecom Minister Ashwini Vaishnaw)। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না, এই নীতির পক্ষে বারবার সওয়াল করেছেন তিনি। সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টেলিকম দপ্তরের ১০ জন শীর্ষস্থানীয় কর্তার ‘বাধ্যতামূলক অবসরে’র নির্দেশে সম্মতি জানিয়েছেন তিনি।
তাঁদের মধ্যে একজন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার আধিকারিকও রয়েছেন বলে শনিবার একটি সূত্র জানা গিয়েছে। এই প্রথম টেলিকম মন্ত্রকের কোনও কর্মচারীকে সিসিএস (পেনশন) বিধি, ১৯৭২-এর পেনশন বিধি ৪৮-এর অধীনে ৫৬ (জে) ধারার অধীনে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হল। সূত্রের খবর, ওই সমস্ত আধিকারিকের সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। দশজনের বাকি ন’জন ডিরেক্টর স্তরে কর্মরত ছিলেন।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হারের জের, তিতের চেন ছিনতাই করে গালিগালাজ করল চোর!]
২৫ ডিসেম্বর ‘গুড গভর্ন্যান্স ডে’ (Good Governance Day)। ঠিক তার আগের দিনই এমন কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পারফর্ম করুন অথবা ছেড়ে দিন। এই নীতিতে ভর করেই তিনি কর্মীদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি কর্মচারী বলে অতিরিক্ত আত্মাভিমান দেখালে চলবে না। গ্রাহকদের পরিষেবার দিকটি সুনিশ্চিত করতে হবে। সেই কারণেই যাঁদের বিরুদ্ধে সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তাঁদের ‘বাধ্যতামূলক অবসরে’ পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে বৈষ্ণোর বৈঠকে ঘুমানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন বিএসএনএলের (BSNL) এক প্রবীণ কর্তা। তাঁকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়া হয়। টেলিকমের পাশাপাশি রেলমন্ত্রকেরও দায়িত্বে রয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণো। সেখানেও ইতিমধ্যে দক্ষতার অভাব এবং সততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণে ৪০ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। যাঁদের মধ্যে একজন সচিব পর্যায়ের এবং দু’জন বিশেষ সচিব পর্যায়ের কর্তাও ছিলেন।