shono
Advertisement

‘মুসলিমরা কখনই সহনশীল হন না, মুখোশ পরে থাকেন’, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

আরএসএসের জনসভায় চাঁচাছোলা ভাষণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।
Posted: 04:28 PM May 09, 2023Updated: 06:24 PM May 09, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিমরা কখনও সহনশীল হন না, সহনশীলতার মুখোশ পরে থাকেন। যাতে করে জনজীবনে টিকে থাকতে পারেন। যাতে করে রাজ্যপাল, উপরাষ্ট্রপতির মতো পদে পৌঁছানো যায়। যেই ওই পদ থেকে অবসর নেন, ওমনি মুখোশ খুলে যায় তাঁদের। সোমবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) এক জনসভায় এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্য পাল সিং বাঘেল (Satya Pal Singh Baghel)। তিনি আরও দাবি করেন, হিন্দুরাষ্ট্রের কাঠামোই ভারতীয় রাষ্ট্রের মূল কাঠামো।

Advertisement

সোমবার মহারাষ্ট্র সদনে আরএসএসের জনসভায় কেন্দ্রের আইন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাঘেল বলেন, “সহনশীল মুসলিমের সংখ্যা হাতে গোনা। সংখ্যাটা হাজার খানেকও হবে না। সেটাও জনজীবনে টিকে থাকার ভান। যাতে করে রাজ্যপাল, উপরাষ্ট্রপতি, উপাচার্য ইত্যাদি পদে পৌঁছানো যায়। অবসর নেওয়ার পরেই এরা অন্য রূপ ধারণ করেন এবং মনের কথা বলতে শুরু করেন।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা গেরুয়া নেতার সাফ কথা, এদেশের মুসলিম শাসকরা কখনই মনেপ্রাণে ভারতীয় হয়ে উঠতে পারেননি। বাঘেল বলেন, “আমি লোহিয়াজির (রাম মনোহর) সঙ্গে একমত নই। ঘোরির মতো মুসলিম শাসকরা লুটেরা আর আকবর, দারাশুকো, রাজিয়া সুলতানা ছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষ, এমনটা নয়। শরিয়ত আইন মেনেই শাসন চালাতেন দিল্লির শাসকরা।

[আরও পড়ুন: মমতার পর এবার নবীন পট্টনায়েকের দ্বারস্থ নীতীশ কুমার, দ্রুত দিল্লিতে মহাজোটের বৈঠক!]

বাঘেলের মতে, দিন-ই-ইলাহি প্রবর্তন, নবরত্ন সভায় হিন্দু সদস্য রাখা, যোধা আকবরকে বিয়ে… সবটাই ছিল আকবরের রাজনৈতিক কৌশল। হিন্দু সংখ্যাগুরু দেশে শাসন ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। কখনই হৃদয় থেকে এই কাজ করেননি তিনি। মৃত্যুর সময় আকবরের শেষ কথা ছিল ‘ইয়া আল্লা’। বাঘেলের কথায়, গুরু তেগ বাহাদুরকে খুনের জন্য জাহাঙ্গিরকে কখনই ক্ষমা করা হবে না। মুঘলদের প্রতিনিধি ঔরঙ্গজেব যা করেছেন, তা কখনই ভোলা হবে না। বাঘেলের এহেন মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দানা বেধেছে।
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement