shono
Advertisement

নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে মামলার সিদ্ধান্ত ঐক্যফ্রন্টের

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেট সফরে যাবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।
Posted: 07:17 PM Jan 08, 2019Updated: 07:17 PM Jan 08, 2019

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত-সহ তিন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাড়িতে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো- একটি জাতীয় সংলাপ, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে নির্বাচনের অনিয়ম তুলে ধরে মামলা এবং দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সফর। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেট সফরে যাবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি প্রদানের ব্যবস্থা করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, যাতে তা আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে যে, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে কোনও নির্বাচন হয়নি।

Advertisement

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছে। গণতন্ত্রের মূল কথা হচ্ছে, জনগণের জন্য জনগণের শাসন; অর্থাৎ জনগণ নিজেদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা করবে। এর জন্য প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া পদ্ধতি। সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল ক্ষমতা ও দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন দেশের মালিক জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপব্যবহার করে এবং সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকাকে নিষ্ক্রিয় করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। নীল নকশা অনুযায়ী ভোটের আগের রাতে নির্বাচন কমিশন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশ দিয়ে, সরকারি সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনীকে ব্যালট পেপারে নৌকা ও লাঙল মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখতে সাহায্য করেছে। নির্বাচনে সরকারি মদতপুষ্ট বাহিনীর কারণে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। জনগণ নিজেদের মত প্রকাশের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার তথ্য-সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ইউএন কনভেনশন অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের মতে, শুধু সাংবিধানিক অধিকার নয় বরং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের মানবাধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড গুরুতর অপরাধ। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের জনগণ নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনরায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

[প্রাক্তনদের অনেকেই বাদ, হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে অসন্তোষ শরিকদের]

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির, কৃষক শ্রমিক জনতা লিগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকি বীরউত্তম, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরি, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরি, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মহসিন মন্টু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক ও নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার