বাবুল হক, মালদহ: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ফের রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে রাজভবন। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (University of Gour Banga)। আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমোদন ছাড়াই গৌড়বঙ্গে ড. শান্তি ছেত্রীকে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির পি ডি উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষা শান্তি ছেত্রী। সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁকে ৩ মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। বর্তমান উপাচার্য ড. চঞ্চল চৌধুরীকে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) অনুমোদন ছাড়াই বারাসতের রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal State University) উপাচার্য হিসাবে মহুয়া দাসকে নিয়োগ করে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। মহুয়া দাস উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি এবং বাগবাজার উইমেন্স কলেজের অধক্ষ্যা। সেই নামেও সম্মতি দেয়নি রাজভবন। তারপর বিজ্ঞপ্তি জারি করে মহুয়া দাসকে নিয়োগ করা হয়। তার ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও।
[আরও পড়ুন: ‘একুশে বাংলায় সরকার গড়বে তৃণমূলই!’, বিজেপির মঞ্চ থেকে বেফাঁস শাসকদলের প্রাক্তন সাংসদ]
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষক ও অফিসারের অভাবে এখনও ধুঁকছে মালদহের বিশ্ববিদ্যালয়টি। চালু হওয়ার ১২ বছর পরও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদিত পদের ৪০ শতাংশ ফাঁকা। বেশ কিছু শূন্যপদ পূরণের চেষ্টা করে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে শিক্ষক-আধিকারিক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। পরে সেই প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। তার আগেই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। পদ্ধতি মেনে যাবতীয় ইন্টারভিউ সেরে উপাচার্য নিয়োগের প্যানেল চূড়ান্ত করা হয়।
সূত্রের খবর, সেই প্যানেলে তিনজনের নাম ছিল। যার মধ্যে এক নম্বরে ছিল শান্তি ছেত্রীর নাম। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপাচার্য নিয়োগের সেই প্যানেলটির অনুমোদন চেয়ে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি এবং চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আচার্যের তরফে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ২ মার্চ বিকেলে উপাচার্য চঞ্চল চৌধুরীর চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়-সহ পড়ুয়া এবং কর্মীদের স্বার্থে এই পদ ফাঁকা রাখা যাবে না। অবশেষে চলতি মাসের ২৫ তারিখ উচ্চ শিক্ষা দপ্তর রাজভবনের অনুমোদন ছাড়াই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে।