shono
Advertisement

প্যারোলে মুক্ত উন্নাওয়ের ধর্ষক, আতঙ্কে নির্যাতিতা, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি 

প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, চিঠিতে দাবি নির্যাতিতার।
Posted: 02:01 PM Jan 19, 2023Updated: 02:01 PM Jan 19, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন উন্নাও ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত কুলদীপ সিং সেঙ্গার (Kuldeep Singh Sengar)। প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের প্যারোলের খবর পেয়েই প্রধানমন্ত্রী-সহ একাধিক ব্যক্তিকে চিঠি লিখেছেন উন্নাওয়ের (Unnao) নির্যাতিতা। মামলার সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে প্রভাবিত করবেন কুলদীপ, সেই আশঙ্কা থেকেই চিঠি লিখেছেন তিনি। সেই সঙ্গে নির্যাতিতার দাবি, দিল্লি পুলিশ ও সিবিআইয়ের কড়া নজরদারিতেই জেল থেকে বেরনোর অনুমতি দেওয়া হোক কুলদীপকে। প্রসঙ্গত, কুলদীপের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাই কোর্ট।

Advertisement

তারপরেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্ট-সহ একাধিক জায়গায় চিঠি লেখেন উন্নাও নির্যাতিতা। তিনি বলেছেন, “জেল থেকে বেরিয়ে আসছেন কুলদীপ সিং সেঙ্গার। কিন্তু দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রেখেই তাঁকে জেল থেকে বেরনোর অনুমতি দেওয়া উচিত। কারণ আমার মামলায় সাক্ষীদের ভয় দেখানো হবে। তাই আমি চাই, সিবিআই ও দিল্লি পুলিশের কড়া নজরদারিতেই কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হোক।” প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন তিনি ও তাঁর পরিবার, এমনটাও জানিয়েছেন নির্যাতিতা।

[আরও পড়ুন: ‘রাহুল গান্ধী ‘পাপ্পু’ নন, যথেষ্ট বুদ্ধিমান’, কংগ্রেস নেতার প্রশংসায় রঘুরাম রাজন]

মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে ২৭ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন কুলদীপ। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁর দিদির বিয়ের অনুষ্ঠানের সময় জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর এক আত্মীয়। কিন্তু জেলে থেকে বেরনোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি। কারণ কুলদীপের এক আত্মীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলবন্দি করা হয়েছিল তাঁকে। তাহলে কুলদীপকে কেন প্যারোলে মুক্তির অনুমতি দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতা।

২০১৭ সালের ৪ জুনে গণ-ধর্ষিতা হন উন্নাওয়ের কিশোরী। মূল অভিযুক্ত ছিলেন তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার। পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ ছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লেখেন নির্যাতিতা। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে ধর্নায় বসেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। সেখানেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা। এই ঘটনার পর উলটে নির্যাতিতার বাবাকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার বাবার। 

[আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের পাঁচ ঘণ্টা আগে উড়ল বিমান, পড়ে রইলেন ৩৫ জন যাত্রী, তদন্তের নির্দেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement