বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: হজরত মহম্মদ সম্পর্কে (Prophet Comments Row) দিল্লির বিজেপি নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অশান্তির আঁচ বাংলাতেও। দু, তিনদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ, অবরোধ। রবিবার নদিয়ার (Nadia) বেথুয়াডহরি স্টেশনে অবরোধ, ট্রেনে ভাঙচুরের মতো ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল জেলার পুলিশ প্রশাসন। গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে, নাকাশিপাড়া এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বেথুয়াডহরির ঘটনায় আতঙ্কে কাঁটা ব্যবসায়ীরা। তাঁরা নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন। সোমবার সকাল থেকে থমথমে এলাকা। দোকানপাটও বন্ধ। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এদিন বিকেলে নবান্নে জেলাশাসকদের (DM)সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী।
রবিবার সন্ধের পর বেথুয়াডহরি (Bethuadahari) স্টেশনে ট্রেন অবরোধে শামিল হন একদল বিক্ষোভকারী। রানাঘাট-লালগোলা মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ভাঙচুরও চলে। এই ঘটনার পরই বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার এসপি ঈশানী পাল জানিয়েছেন, প্রথমে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গভীর রাতে আরও ৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। জিআরপিও তল্লাশি চালিয়ে আরও ৩ জনকে আটক করেছে। নাকাশিপাড়ায় আজ সকাল থেকে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এছাড়া পুলিশ প্রশাসন যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা নিয়েছে। এ বিষয়ে যথেষ্ট কড়া প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা: কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের মাঝেই ইডি দপ্তরে হাজির রাহুল গান্ধী]
সোমবারও থমথমে বেথুয়াডহরি। ব্যবসায়ীরা গতকাল সন্ধের ঘটনার পর এদিন দোকানপাট খুলতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, আগেই সচেতন হলে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতো না। ১৪৪ ধারা জারি করার সিদ্ধান্তকে তাঁরা স্বাগত জানালেও আতঙ্ক কাটেনি। হাওড়া, নদিয়া ছাড়াও মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় অশান্তির আগুন জ্বলছে আজও। মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিলেও তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। কিন্তু জনবিরোধী পরিস্থিতি দমন নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন। সোমবার বিকেলে নবান্নে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব।