সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেতু ভেঙে আর যাতে কোনও বিপর্যয় না হয়, তার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। পোস্তার বিবেকানন্দ সেতুর বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ঠিক হয়, সোমবার রাত আটটা থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে। তবে সূত্রের খবর, এখনই গোটা সেতুটা ভেঙে ফেলা হবে না। আপাতত বিপজ্জনক অংশই ভাঙা হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বদল হয় সিদ্ধান্তের। ঠিক হয়, আজ থেকেই ভাঙা হবে না উড়ালপুল। আগামী ১০ জুলাই কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ এবং কেএমডিএ একসঙ্গে ঘটনাস্থলে যাবে। তারপরেই জানা যাবে কবে থেকে ভাঙা হবে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ। সেদিন দুপুরে ভেঙে পড়েছিল পোস্তার নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ সেতুর একাংশ। প্রথমে প্রচণ্ড জোরে কিছু ভেঙে পড়ার শব্দ পান স্থানীয়রা। তারপর চিৎকার, আর্তনাদ। এই দুর্ঘটনায় প্রায় ২৭ জনের প্রাণ যায়। আহন হন আশিরও বেশি মানুষ। গণেশ টকিজে বিবেকান্দ রোডের উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল পোস্তা উড়ালপুল। এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় নবান্নে। সেই কমিটিতে ছিলেন খড়গপুর আইআইটির তিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ও রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়।
[ আরও পড়ুন: পুলিশ হাসপাতালের ৫০শতাংশ শয্যা সাধারণের জন্য, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর ]
রাজ্য সরকারকে তাঁরা যে রিপোর্ট পেশ করেছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল, পোস্তার বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভেঙে পড়া অংশ বাদে বাকি অংশও ভেঙে ফেলতে হবে বলে। রাজ্যের হাই পাওয়ার্ড কমিটিকে এই রিপোর্ট পেশ করে রাইটসও৷ খড়গপুর আইআইটি-র রিপোর্টেও নকশা ও নির্মাণ কাজে ত্রুটির বিষয়ে বলা হয়৷ নবান্ন সূত্রে খবর, সেই রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়, নকশায় ত্রুটি ছিল৷ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল৷ পাশাপাশি নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মানও যাচাই করা হয়নি৷ এ ব্যাপারে যাচাই করার কোনও রিপোর্টও ছিল না৷ উড়ালপুলের স্ল্যাবগুলি ঠিকভাবে জোড়া হয়নি বলেই আইআইটি-র রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়৷ এমনকী ভেঙে পড়া অংশ নতুন করে নির্মাণও বিপজ্জনক। বলা হয়েছিল, এই সেতু নতুন করে গড়তে হবে। শেষ পর্যন্ত ঘটনার তিনবছর পর পোস্তার বিবেকানন্দ উড়ালপুলের বিপজ্জনক অংশ ভাঙা হচ্ছে।
[ আরও পড়ুন: এক দোকানে চাল-ডাল থেকে পোশাক, সোনাগাছিতে যৌনকর্মীদের জন্য ডিপার্টমেন্টাল স্টোর্স ]
The post শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্তবদল, পোস্তা উড়ালপুলের বিপজ্জনক অংশ এখনই ভাঙছে না রাজ্য appeared first on Sangbad Pratidin.