সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোজকার মতোই মদে চুর হয়ে ফিরেছিল বাবা। নিজের মোবাইল ফোনটা কোথায় রেখেছে, মদের নেশায় কিছুতেই মনে করতে পারছিল না সে। বাড়িতে থাকা ৯ বছরের ছেলের উপর মোবাইল খুঁজে আনার দায়িত্ব দেয় ওই মদ্যপ ব্যক্তি। কিন্তু ফোন খুঁজে পায়নি ওই বালক। আর এই ‘অপরাধের’ চরম শাস্তি দিল তার বাবা।
গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে নিজের ছেলেকে খুন করল ওই মদ্যপ ব্যক্তি। তাও আবার নিজের ৪ বছরের মেয়ের সামনে। কুকীর্তি করার পরই বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেয় সে। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘সবসময় সঙ্গম করতে চায়’, স্বামীর চাহিদায় দিশেহারা স্ত্রী গেলেন আদালতে]
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম মুকেশ বাথাম। উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরীতে বাবা এবং ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকত সে। পরিবারের অভিযোগ, দিনরাত মদের নেশা করত মুকেশ। আর নেশার ঘোরে পরিবারের সদস্যদের মারধর, গালিগালাজ করত। তার এই অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ৮ মাস আগে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে স্ত্রী। তাদের মোট ছয় সন্তান। তাদের মধ্যে চারজনকে নিয়ে পাঞ্জাবে থাকছেন মুকেশের স্ত্রী। আর মুকেশের সঙ্গে থাকত ৯ বছরের ছেলে এবং ৪ বছরের মেয়েটি।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। সেদিনও মদের নেশায় চুর হয়ে বাড়ি ফিরেছিল মুকেশ। রাস্তায় কোথায় মোবাইল ফোন ফেলে এসেছে, সে কিছুতেই মনে করতে পারছিল না। অগত্যা ছেলেকে হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে আনার হুকুম দেয়। কিন্তু মোবাইল খুঁজে পায়নি ছেলে। আর তাই শাস্তিস্বরূপ ছেলের গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মুকেশ। মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকে মুকেশের ৪ বছরের মেয়ে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: দেশে একদিনে করোনার কবলে ২ লক্ষ ৪৭ হাজার, আজ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক মোদির]
এই ঘটনায় বুধবার মুকেশের বাবা লক্ষ্মণ সিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৃত শিশুর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। এদিকে অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। বৃহস্পতিবার ভোররাতে মুকেশকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ।