সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আগে জোট হয়নি। কিন্তু ভোটের পরে তো প্রয়োজনে জোট হতেই পারে। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশের দল সমাজপার্টি পার্টিকে ঘুরিয়ে সেই বার্তাই দিতে চাইল কংগ্রেস। সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব এবং যাদব পরিবারের সদস্য শিবপাল যাদবের (Shivpal Yadav) বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দিল না হাত শিবির। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, অখিলেশকে ভোট পরবর্তী জোটের বার্তা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস শিবির।
অখিলেশ যাদব এই প্রথমবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় (UP Assembly Election) লড়বেন। মুলায়ম সিং যাদবের ঘরের মাঠ মইনপুরির কারহাল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। কংগ্রেস প্রথমে ওই কেন্দ্র থেকে দলের রাজ্য মহিলা মোর্চার এক নেত্রীকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে তিনি মনোনয়ন দেননি। একইভাবে এটোয়ার যশবন্ত নগরে কংগ্রেসের (Congress) কোনও প্রার্থী নেই। ওই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন অখিলেশ যাদবের কাকা তথা সমাজবাদী প্রগতিশীল মোর্চার নেতা শিবপাল সিং যাদব। কংগ্রেস এই দুই নেতার বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিলেও মায়াবতীর বিএসপি কিন্তু দুই কেন্দ্রেই দলিত প্রার্থী দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: Manipur Election: প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ, দলে দলে বিজেপি ত্যাগ মণিপুরের নেতাদের]
কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, এটা নেহাতই সৌজন্য। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি-রায়বরেলিতে রাহুল (Rahul Gandhi) এবং সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি সমাজবাদী পার্টি। সেকারণেই অখিলেশদের বিরুদ্ধে দল প্রার্থী দিচ্ছে না। কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ আসলে পরোক্ষে সমাজবাদী পার্টিকে (Samajwadi Party) দেওয়া জোট বার্তা। ভোটের আগে জোট না হলেও, ভোটের পরে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে জোটের রাস্তা খোলা রাখতে চায় হাত শিবির।
[আরও পড়ুন: জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল মুম্বইয়ের আদালত]
এমনিতে ভোটের আগেই সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোটে আগ্রহী ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু শেষপর্যন্ত সপাই সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি। আসলে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস এখন অনেকটাই শক্তিহীন। তাই সেভাবে হাত শিবিরকে গুরুত্ব দিতে চায়নি সমাজবাদী পার্টি। তাছাড়া, ২০১৭ সালে সরাসরি জোট করে কংগ্রেস বা সমাজবাদী পার্টি কোনও শিবিরই তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তাই এবারে সরাসরি জোট হয়নি। তবে, তলায় তলায় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দুই দলের মধ্যে অলিখিত একটা বোঝাপড়া আছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।