সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে ৭ দফায় হবে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন (UP Elections)। মণিপুরে ভোট হবে ২ দফায়। পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়ায় ভোট এক দফাতেই। শনিবার পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ৫ রাজ্যের নির্বাচন প্রক্রিয়া। ভোট ঘোষণা ১০ মার্চ। আজ থেকেই চালু হয়ে গেল নির্বাচনী আচরণবিধি।
৫ রাজ্যের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট:
প্রথম দফা
ভোট হবে- উত্তরপ্রদেশ (প্রথম দফা)
ভোটের দিন- ১০ ফেব্রুয়ারি
দ্বিতীয় দফা
ভোট হবে- উত্তরপ্রদেশ (দ্বিতীয় দফা), উত্তরাখণ্ড (এক দফা), পাঞ্জাব (এক দফা), গোয়া (এক দফা)
ভোটের দিন- ১৪ ফেব্রুয়ারি
তৃতীয় দফা
ভোট হবে- উত্তরপ্রদেশ (তৃতীয় দফা)
ভোটের দিন- ২০ ফেব্রুয়ারি
চতুর্থ দফা
ভোট হবে- উত্তরপ্রদেশ (চতুর্থ দফা)
ভোটের দিন- ২৩ ফেব্রুয়ারি
পঞ্চম দফা
ভোট হবে- উত্তরপ্রদেশ (পঞ্চম দফা), মণিপুর (প্রথম দফা)
ভোটের দিন- ২৭ ফেব্রুয়ারি
ষষ্ঠ দফা
ভোট হবে-উত্তরপ্রদেশ (ষষ্ঠ দফা), মণিপুর (দ্বিতীয় দফা)
ভোটের দিন- ৩ মার্চ
সপ্তম দফা
ভোট হবে- উত্তরপ্রদেশ (সপ্তম দফা)
ভোটের দিন- ৭ মার্চ
ভোটগণনা- ১০ মার্চ
[আরও পড়ুন: ‘দেশজুড়ে বাড়ছে বিদ্বেষ, মুখ খুলুন’, মোদিকে চিঠি দিয়ে আরজি IIM পড়ুয়াদের]
শনিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র (Sushil Chandra) জানিয়েছেন, সংবিধান মেনে সময়মতো নির্বাচন করতে তাঁরা বাধ্য। তাই করোনা বিধি মেনে নির্ধারিত সময়েই ভোট হবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, করোনা বিধি মেনে, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করার ব্যাপারে কমিশন বদ্ধপরিকর। সেই মতো সমস্তরকম ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে কোনও রাজনৈতিক দল রোড শো, পদযাত্রা, সাইকেল-বাইক মিছিল করতে পারবে না। কোনও জনসভা করা যাবে না। ১৫ জানুয়ারির পরও সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কোনও সভা বা পথসভা করা যাবে না। বিজয় মিছিলও করা যাবে না। করোনা বিধি মেনে প্রচারের জন্য প্রার্থীদের ভোটপ্রচারের খরচের সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা পিছু প্রচারে ৪০ লক্ষ টাকা করে খরচ করতে পারবেন প্রার্থীরা। মণিপুর এবং গোয়ায় এই সীমা হবে ৩৮ কোটি টাকা।
[আরও পড়ুন: আপের জয়ই সার, ‘ঘুরপথে’ চণ্ডীগড়ের মেয়রপদ দখল করল বিজেপিই, তুঙ্গে তরজা]
নির্বাচন কমিশনের দাবি, কোভিড (COVID-19) সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সমস্ত ভোটকেন্দ্রে স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং গ্লাভসের ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রথমবার করোনা আক্রান্তরা ভোট দিতে পারবেন পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা কমিয়ে ১ হাজার ২৫০ জন করা হয়েছে। এর ফলে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। মহিলাদের সুবিধার জন্য সমস্ত বিধানসভায় অন্তত একটি করে বুথ থাকবে শুধুমাত্র মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত। কিছু কিছু ভোটকেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন শুধু দিব্যাঙ্গরা।