সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক ৬ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন (Sexual Assault) করে খুন করার ঘটনায় চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাপুরে। জানা গিয়েছে, ওই শিশুটিকে খুন করে একটি ট্রাঙ্কের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল দেহ। বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ থাকা মেয়েটির খোঁজ মেলে শনিবার। এরপরই যে প্রতিবেশীর বাড়িতে দেহটি পাওয়া গিয়েছে, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজের অপরাধ কবুলও করেছে অভিযুক্ত আমজাদ।
ঠিক কী হয়েছিল? হাপুরের পুলিশ কর্তা সর্বেশ মিশ্র জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বাড়ির কাছেই একটি দোকানে গিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটি। ঠিক সেই সময় প্রতিবেশী ৩৮ বছরের আমজাদ তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে যৌন নির্যাতন করে খুন করে সে। সেই সময় অভিযুক্তর স্ত্রী ও দুই সন্তান বাড়িতে ছিল না।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশে করোনায় মৃত বাড়ল ২ হাজার ৭৯৬ জন! একদিনে আক্রান্ত প্রায় ৯ হাজার]
এদিকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে দ্রুত এলাকার বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে থাকে তার পরিবার। শেষ পর্যন্ত তার কোনও সন্ধান না পেয়ে শুক্রবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। শনিবার সকাল থেকেই প্রতিবেশীরা জানায়, অভিযুক্তের বাড়ি থেকে পচা গন্ধ আসছে। সেই খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ বাহিনী। যদিও বাড়িটিতে তালা লাগানো ছিল। তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অচিরেই ট্রাঙ্কের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির মৃতদেহ। তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে।
ঘটনা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যদি ঘটনাস্থল থেকে আমজাদকে উদ্ধার করে নিয়ে না যাওয়া হত তাহলে নিশ্চিত ভাবেই গণপিটুনির শিকার হতে হত তাকে।
[আরও পড়ুন: নাগাল্যান্ডে ‘সন্ত্রাস দমন’ অভিযানে গুলি নিরাপত্তারক্ষীদের! বহু নিরীহ নাগরিকের মৃত্যু]
অভিযুক্ত আমজাদ জেরার মুখে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। সে ড্রাগের নেশায় আসক্ত বলেও জানা গিয়েছে। শিশুটির দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট পেলে নৃশংস ওই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।