সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবারই মথুরায় (Mathura) মদ-মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল যোগী (Yogi Adityanath) প্রশাসন। এরপরই শুক্রবার জানিয়ে দেওয়া হয়, মথুরা ২২টি ওয়ার্ড ‘পবিত্র তীর্থস্থল’। এরপরই পুরসভার ওই ২২টি ওয়ার্ডের মোট ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে মদ-মাংসের বিক্রি।
উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবনীশ কুমার অবস্তি জানিয়েছেন, ”ধর্মীয় স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা ওই অঞ্চলে এই ধরনের কোনও দোকান যাতে খোলার অনুমতি না দেওয়া হয় তা দেখবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আবগারি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরকে।” ওই এলাকায় এতদিন যে সব মদ-মাংসের দোকান ছিল, সেগুলি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: Vijay Rupani: হঠাৎ ইস্তফা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির, কারণ ঘিরে জল্পনা]
কয়েকদিন আগে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে লখনউয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে তিনি বলেন, ”মথুরাবাসীকে তাঁদের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই কারণে মদ বা মাংস বিক্রি ছেড়ে দুধ বিক্রি করুন। অতীতে প্রচুর পরিমাণে গবাদি পশুর দুধের ভাণ্ডার ছিল এই মথুরা।” এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি যোগী। শ্রীকৃষ্ণের কাছে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির প্রার্থনাও করেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ”ব্রজভূমিরর উন্নয়নে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে। এই বিষয়ে তহবিলের কোনও অভাব হবে না। এই স্থানে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে স্থানীয় সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের মেল বন্ধনের চেষ্টা চালানো হবে।”
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বলছে, রাজ্যে নির্বাচনের আগে ফের হিন্দুত্ব ভোটে ভরসা করে কৌশল সাজাচ্ছে বিজেপি। সেই কারণে শীঘ্রই যোগীর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে চলেছে। যেখানে ভোটের অঙ্কের নিরিখে মন্ত্রীপদ পাবেন বিজেপির আস্থাভাজনরা। সেই তালিকায় নাম রয়েছে, ব্রাহ্মণ মুখ জিতিন প্রসাদের। শিকে ছিঁড়তে পারে সঞ্জয় নিশাদের মতো ব্যক্তিদের। মথুরা-বৃন্দাবনে মদ-মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করার পিছনেও হিন্দুত্বের অঙ্কই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।