সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছে বাবা। আর তারপর থেকেই দুই মেয়ের উপরে শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন। এমনকী বন্দুক দেখিয়ে খুনের হুমকিও দেওয়া হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বিষ (Poison) খেলেন ওই দুই তরুণী। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যজন ভরতি হাসপাতালে। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)।
যোগীরাজ্যের পরহরি গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা (২১) ও স্বপ্না (১৯)। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট লক্ষ্মীনিবাস মিশ্র জানাচ্ছেন, ওই তরুণীদের বাবা মলখন সিং জোড়া খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত আসামী। মাস ছয়েক আগে সে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফেরে। তারপর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। কেবল দুই মেয়ে নয়, স্ত্রী রেখা দেবীকেও মারধর করত মলখন। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
[আরও পড়ুন: খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাংলোর নির্মাণ বেআইনি, দু’সপ্তাহেই গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের]
রেখা দেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী ছাড়াও দুই দেওর সুরেশ ও রাজেশও তাঁদের উপরে নির্যাতন চালাত। একটা দেশি পিস্তল দেখিয়ে ভয়ও দেখাত। বাড়িতে রান্নাও করতে দিত না। পরিস্থিতি ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠছিল। অবশেষে রবিবার আত্মহত্যার পথ বেছে নেন প্রিয়াঙ্কা ও স্বপ্না। তবে বিষ খেয়ে প্রিয়াঙ্কা মারা গেলেও স্বপ্নাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তিনি এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মলখনকে। ১৬ বছর আগের এক মামলায় জেল খাটছিল সে। কিন্তু প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ফের আরেক মামলায় জড়িয়ে গেল অভিযুক্ত।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই নাবালিকা দুই বোনকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশে। লখিমপুর খেরির একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় দুই বোনের দেহ। দলিত নাবালিকাদের মায়ের অভিযোগ, মেয়েদের অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।