সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৬ দিন ধরে পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে চেয়েছিলেন। প্রতিদিন থানায় গেলেও তাঁর আবেদনে কান দেয়নি পুলিশ। উলটে মানসিক ভারসাম্যহীনের তকমা জুটেছে নির্যাতিতার কপালে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় থানার সামনে গেলেন তরুণী। ওই অবস্থাতেই ব্যস্ত রাস্তায় বসে প্রতিবাদ শুরু করেন তিনি। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।
ঠিক কী ঘটেছে যোগীরাজ্যে? জানা গিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ আগস্ট। নির্যাতিতার অভিযোগ, আগ্রা টাউনে একটি গাড়িতে চেপে যাওয়ার সময়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছে এক আইআইটি পড়ুয়া। তার পরে গাড়ি থেকে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। কিন্তু ১০ আগস্ট থেকে শুরু করে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁর অভিযোগ নথিবদ্ধ করতেই চায়নি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ভারতজুড়ে ট্রেনে নাশকতা, হিন্দু নেতাদের খুনের ছক! প্রকাশ্যে কুখ্যাত জঙ্গির ভিডিও বার্তা]
প্রথমে নির্যাতিতাকে বলা হয়, অভিযুক্ত নাকি ঘটনার দিন জম্মুতে ছিলেন। সেই জন্য অভিযোগ দায়ের করা সম্ভব নয়। পরের দিন থানায় গেলে নির্যাতিতাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় একটি মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে। পুলিশের তরফে বলা হয় ওই তরুণী নাকি মানসিক ভারসাম্যহীন। যদিও সেরকম কোনও প্রমাণ না পেয়ে একদিনের মধ্যেই ওই তরুণীকে ছেড়ে দেওয়া হয় মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে। তার পর থেকে প্রত্যেক দিন থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে চেয়েছেন নির্যাতিতা। কিন্তু প্রতিবারই তাঁকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদের পথে হাঁটতে বাধ্য হন নির্যাতিতা। বিবস্ত্র অবস্থায় থানার সামনের ব্যস্ত রাস্তায় বসে নিজের দাবি জানান। ওই অবস্থায় নির্যাতিতাকে বসে থাকতে দেখে অনেকে ভিডিও তুলতে থাকেন। এই খবর পেয়ে অবশেষে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। আটক করা হয় হয় শিবাংশ সিং নামে আইআইটির এক স্নাতকোত্তর পড়ুয়াকে। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীকে দীর্ঘদিন ধরে হেনস্তা করত অভিযুক্ত। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে ওই পড়ুয়া।