সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়েছে যোগদিবস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে ভারতীয় সেনা জওয়ান, প্রত্যেকেই অংশ নিয়েছিলেন যোগাসনে। কিন্তু এরই মধ্যে অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটিয়ে বিতর্কে জড়ালেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী লক্ষ্মী নারায়ণ।
যোগীর রাজ্যে শাহজাহানপুরে যোগদিবস উপলক্ষে অর্ডান্যান্স ক্লথিং ফ্যাক্টরিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন মন্ত্রী লক্ষ্মী নারায়ণ। ইভেন্ট শেষ হতেই বিতর্কে জড়ান তিনি। এক সরকারি কর্মীকে ডেকে জুতো পরিয়ে দিতে বলেন। মন্ত্রীর নির্দেশ মতো হাঁটু গেড়ে বসে জুতোর ফিতে লাগিয়ে দেন ওই কর্মী। গোটা দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেওয়া হয়। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। যে নরেন্দ্র মোদি যোগদিবসকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিয়েছেন, সেই মোদির দলের মন্ত্রীই নাকি এমন বিশেষ দিনে এই কাণ্ড ঘটালেন। স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনা বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
[আরও পড়ুন: নৌসেনার নির্মীয়মাণ যুদ্ধজাহাজে ভয়াবহ আগুন, মৃত ১]
ভারতকে সুপার পাওয়ার করার সব কৃতিত্ব ভগবান শিবের। এমন মন্তব্য করে অতীতে এই মন্ত্রীই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এবারও হাজার বিতর্কের মধ্যেও ক্ষমা চাননি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী। উলটে আত্মপক্ষ সমর্থনে সরব হয়েছেন। ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে নিজের কাজের সাফাই দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। এমনকী নিজের সঙ্গে শ্রী রামচন্দ্রের তুলনা টানতেও পিছুপা হননি। বলেন, “বাড়ির ছোট ভাই কিংবা ভাইপো যদি আমায় বড়র সম্মান দিয়ে নিজেই জুতো পরিয়ে দেয়, তাহলে অসুবিধা কোথায়? এটা তো সেই দেশ যেখানে দাদার খড়ম সিংহাসনে রেখে ১৪ বছর রাজত্ব চালিয়েছিলেন ভরত। তাই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা না করে প্রশংসা করা উচিত।”
তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একই কাণ্ড ঘটিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ওড়িশার মন্ত্রী যোগেন্দ্র বেহরা। স্বাধীনতা দিবসে নিজের সিকিউরিটি অফিসারকে দিয়ে জুতোর ফিতে বাঁধানোয় বিতর্ক তৈরি করেছিলেন তিনি। পরে কাজের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন, “বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে আমি পতাকা উত্তোলন করেছি। ও সেটা করেনি।”
[আরও পড়ুন: যোগ দিবসে সেনাকে কটাক্ষ! রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব অমিত শাহ]
The post যোগদিবসে সরকারি কর্মীকে দিয়ে জুতোর ফিতে বাঁধালেন মন্ত্রী, ভাইরাল ভিডিও appeared first on Sangbad Pratidin.