সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাহিদা মতো মেলেনি পণ। এই কারণে যৌনমিলনের পর গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (UP) কানপুর এলাকার হামিরপুর জেলায়।
অভিযুক্তের নাম অমৃত লাল। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাসিরপুর গ্রামের বাসিন্দা অমৃত। তিন বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল হামিরপুরের পরী ওঝার সঙ্গে। দুই বছরের একটি ছেলেও রয়েছে তাঁদের। পরীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণ চেয়ে গৃহবধূর উপর অত্যাচার করা হত। সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। রোজকার অশান্তি সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি ফিরে এসেছিলেন পরী ওঝা। জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখ শ্বশুরবাড়ি ফিরেছিলেন। ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ থেকেই পরীর কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এরপরই স্থানীয় থানায় গৃহবধূর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানানো হয়।
[আরও পড়ুন: জোর লাগাকে হেইসা! সুড়ঙ্গে আটক যুবককে দুঃসাহসিকভাবে উদ্ধার ITBP’র, ভাইরাল ভিডিও]
তদন্তে নেমে পরীর শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়ির সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখনই গৃহবধূর বাপের সদস্যরা অভিযোগ করেন, পণের দাবিতে নিজের স্ত্রীকে খুন করেছেন অমৃত লাল। এরপরই অমৃত লালকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নিজের দোষ স্বীকার করে অমৃত লাল। জানায়, কীভাবে পরীকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সে ডেকেছিল। তারপর চাষের জমিতে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন দু’জনে। যৌনমিলনের পর স্ত্রীর ওড়না দিয়েই তাঁর গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে অমৃত লাল। তারপর দেহ সেখানে রেখেই পালিয়ে যায় । কাছের নদীতে পরীর মোবাইল ফোনটি ফেলে দেয়। অমৃত লালের বয়ান অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীর দেহও উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত যুবক।