সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম-পরিচয় লুকিয়ে হিন্দু তরুণীর সঙ্গে প্রেম, লিভ-ইন এবং পরে বিয়ের পরিকল্পনা করেছিল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাসিন্দা এক মুসলিম যুবক। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, ধর্ষণ, প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্তকে। বিয়ের আগের দিন যুবকের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ্যে চলে আসে। চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গ্রেটার নয়ডা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
আদতে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বাসিন্দা তরুণীর সঙ্গে আলাপ জমানোর সময় নিজেকে আশিস ঠাকুর বলে পরিচয় দেয় যুবক। যদিও তার আসল নাম হাসিন সইফি। ওই তরুণী ও হাসান যখন নয়ডার দাদরি এলাকায় থাকতেন তখনই উভয়ের মধ্যে পরিচয় হয়। ওই সময় চাকরি চলে গিয়েছিল তরুণীর। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, এই সুযোগ কাজে লাগায় হাসান। সহানুভূতি দেখিয়ে আলাপ জমিয়েছিল সে। প্রেমের ফাঁদে পড়ে যান তরুণী।
[আরও পড়ুন: নজরে লালফৌজ, অরুণাচলে সীমান্ত সংঘাতের পরই মহড়া শুরু ভারতীয় সেনার ]
এরপর উভয়ের দাদরির এসকর্ট কলোনি এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। তদন্তকারী পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, উভয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও তুলেছিল হাসান। সেই ভিডিও দেখিয়ে তরুণীকে বিয়ের জন্য চাপ দিত সে। এরপরেই বিয়ের বিষয়টি পাকা করেন তরুণী। সোমবারই বিয়ের হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। যদিও তার আগে রবিবারে যুবকের নাম-পরিচয় লোকানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল।
[আরও পড়ুন: মোদি সরকার থাকতে দেশের এক ইঞ্চি জমিও কেউ দখল করতে পারবে না, চিন ইস্যুতে হুঙ্কার শাহ’র]
রবিবার ছেলের খোঁজে এসকর্ট কলোনির ফ্ল্যাটে আসেন অভিযুক্ত যুবকের বাবা শাকিল সইফি। তিনি স্থানীয়দের কাছে জানতে চান, হাসান সইফি নামের কেউ এই ফ্ল্যাটে থাকছে কিনা। উত্তরে প্রতিবেশীরা জানান, যিনি ফ্ল্যাটের যুগ্ম বাসিন্দা তাঁর নাম আশিস ঠাকুর। ঘটনার সময় ফ্ল্যাটে ছিলেন না অভিযুক্ত যুবক। উপস্থিত ছিলেন তরুণী। এই ঘটনায় গোটা বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায় তাঁর কাছে। এরপরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ দ্রুত আশিস ঠাকুর ওরফে হাসান সইফিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মন্তকরণের চেষ্টা, ধর্ষণ, প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।