সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) যোগী সরকারের তিন মন্ত্রী স্বামীপ্রসাদ মৌর্য, ধরম সিং সাইনি ও তারপর দারা সিং চৌহান (Dara Singh Chauhan) পদত্যাগ করেছিলেন মন্ত্রিসভা থেকে। জানাই ছিল, অন্য দলছুট বিজেপি বিধায়কদের মতোই তিন মন্ত্রীও যোগ দিতে চলেছেন সমাজবাদী পার্টিতে (Samajwadi Party)। আজ সেই মতোই বিজেপি ছেড়ে অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) উপস্থিতিতে যোগী সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী দারা সিং চৌহান যোগ দিলেন সমাজবাদী পার্টিতে।
হিসাব বলছে, ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে প্রায় ডজন খানেক বিজেপি বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন তিন মন্ত্রীও। রবিবার দারা সিং চৌহান ছাড়াও সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিলেন আপনা দলের বিধায়ক আর কে ভর্মা (RK Verma)।
[আরও পড়ুন: অযোধ্যা নয়, ‘ঘরের মাঠ’ গোরক্ষপুর থেকেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় লড়বেন যোগী]
এদিন অখিলেশ যাদব দারা সিং চৌহান ও আর কে ভর্মাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেন। অখিলেশ বলেন, “এই লড়াই দিল্লি ও লখনউয়ের ডবল ইঞ্জিন সরকারের সঙ্গে। ওরা (বিজেপি) কেবল বিভেদের রাজনীতি করেছে, আমাদের পাখির চোখ উন্নয়নের রাজনীতি।”
উল্লেখ্য, দারা সিং চৌহান উত্তরপ্রদেশে দলিত তথা পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা। লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। পদত্যাগের সময় যোগী (Yogi Adityanath) সরকারের পরিবেশ ও বন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। এদিন নতুন দল যোগ দেওয়ার পর প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, “সমাজের যাঁরা পিছিয়ে পড়া মানুষ, তাঁদের প্রতি এই সরকারের মনোভাব আমাকে দুঃখ দিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত, তিনদিনে পদত্যাগ ৩ মন্ত্রীর, দল ছাড়লেন ৬ বিধায়কও]
এদিকে আজই বিজেপিত যোগ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক অসীম অরুণ। গেরুয়া শিবিরে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার যোগ দেওয়ার পর বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর অখিলশের দলকে কটাক্ষ করে বলেন, “যারা দাঙ্গা করে তারা সমাজবাদী পার্টিতে যায়, যাঁরা দাঙ্গাকারীদের ধরে শাস্তি দেয় তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেন।”
প্রসঙ্গত, যোগী আদিত্যনাথ নিজে ঠাকুর সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় উত্তরপ্রদেশের উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণদের মধ্যে বিজেপির প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরি হয়েছে। সেই ঘাটতি মেটাতে এবার ওবিসি এবং দলিতদের টার্গেট করেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু যেভাবে একের পর এক দলিত নেতা ও মন্ত্রী দল ছাড়ছেন, তাতে দলিত ভোটের আশাও ক্রমশ ক্ষীণ হওয়া শুরু করেছে। তাছাড়া এভাবে মন্ত্রী ও বিধায়কদের দল ছাড়ার ঘটনাও ভোটারদের উদ্দেশে খুব ভাল বার্তা না।