সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী (UP election 2022) প্রচার সেরে ফেরার সময় হামলার মুখে পড়েছিল এআইএমআইএম সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েসির (Asaduddin Owaisi) গাড়ি। তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল সেই গাড়ি লক্ষ্য করে। যদিও আঁচড়টুকুও লাগেনি নেতার। তবু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত শচীন শর্মার বাড়িতে যোগী আদিত্যনাথের এক মন্ত্রীর হাজিরা ঘিরে বিতর্ক অন্যদিকে মোড় নিল।
গতকাল, বুধবার সুনীল ভারালা নামের ওই মন্ত্রী কেবল শচীনের বাড়িই যাননি। কার্যত তাঁকে ‘নির্দোষ’ বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ”এবিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। যেন কোনও নিরপরাধ মানুষকে শাস্তি না দেওয়া হয়। আমরা ওই ছেলেটির ভাই ও অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করেছি। এখনও প্রমাণিতই নয় আদৌ ছেলেটি গুলি চালিয়েছিল কিনা, অথচ ওয়েইসি ওর সম্পর্কে আক্রমণাত্মক কথাবার্তা বলে চলেছে। আমরা ছেলেটির পরিবারকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছি।” উল্লেখ্য, শচীনের সঙ্গে শুভম বলে আরও একজনক এই ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দৌড় থেমে গেল সত্তরে, প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত]
এদিকে হিজাব বিতর্কেও ওয়েইসির বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। খোদ যোগীই ওয়েইসিকে তোপ দেগে বলেছেন, ”উনি কি দেশটাকে তালিবানি মুলুক বানাতে চান? এই সব বিষয়ে কথা বলতে হলে তা আফগানিস্তানে করা উচিত।” কয়েকদিন আগেই ওয়েইসি দাবি করেছিলেন, ভবিষ্যতে হিজাব পরিহিতা মহিলাই হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরেই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এবার সেই বিষয়ে তাঁকে আক্রমণ করলেন যোগীও।
কিন্তু ঠিক কী বলেছিলেন ওয়েইসি? ওয়েইসি বলেন, “হিজাব পরিহিতা মেয়েরা চিকিৎসক হচ্ছেন, জেলাশাসক হচ্ছেন, মহকুমা শাসক হচ্ছেন। তাঁরা একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রীও হবেন।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাঁর এই বক্তব্য। এদিকে এই ইস্যুতে কেন্দ্রকেও তুলোধোনা করেছেন তিনি। ওয়েইসির অভিযোগ, বিজেপি সরকার মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরতে দেয় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর খোঁচা, উনি মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা বলেন। বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও-এর প্রচার করেন। তিন তালাক নিষিদ্ধ করেন। হিজাব পরা নিষিদ্ধ করে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াওয়ের প্রচার করছেন উনি?”