সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৮৬ সালে হাথরাসে একটি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হয় রঘুনন্দন সিং। পরে দোষী সাব্যস্ত হয় সে, যাবজ্জীবন সাজাও হয়। বছর তিন পরে প্যারোলে মুক্তি মেলে। যদিও প্যারোলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও জেলে ফেরেনি রঘু। বরং গা ঢাকা দেয় সে। দিল্লিতে ভুয়ো পরিচয়ে ৩৩ বছর কাটানোর পর মঙ্গলবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে দিল্লি (Delhi) ও হাথরাসে (Hathras)।
কিছুদিন আগেই হাথরাসের ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। বছর ৫৬-র রঘু ধর্ষণের আসামী। তবে সেই ঘটনা কয়েক দশক আগের। মঙ্গলবার তাকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জেনে চমকে গেছেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির আত্মীয়রা।হাথরাসের আত্মীয়-প্রতিবেশীদের ধারণা ছিল, রঘুর মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট সম্ভব নয়’, ফের বললেন পওয়ার]
হাথরাসের এসপি (SP) বিনিত জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ১৯৮৬ সালে হাথরসে একটি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হয় রঘুনন্দন সিং। পরের বছর ১৯৮৭ তে সাজা হয়। ১৯৮৯ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশ প্যারোলে ছাড়া পায়। মুক্ত হয়েই গ্রাম গিয়ে সব সম্পত্তি বেচে দেয় সে। আর জেলেমুখো হয়নি। বরং বেমালুম গায়েব হয়ে যায়। তারপর থেকেই দিল্লির বুরারি এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল রঘু। এমনকী এই পর্বেই বিয়ে করে সে। স্ত্রীর সঙ্গেই রাজধানীতে থাকছিল। দিল্লির একটি কাপড়ের দোকানে কাজও নিয়েছিল। এতদিন পুলিশ খোঁজ করল না? হদিশ পেল না একজন ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত আসামির?
পুলিশের দাবি, হাত গুটিয়ে বসে ছিল না তারা। রঘুনন্দন গায়েব হতেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় পুলিশ। হাই কোর্ট আসামিকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেয়। এরপর তাকে ধরতে একাধিক দল গঠিত হয়। যদিও গ্রামে খোঁজ করে লাভ হয়নি। পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য ছিল, রঘু মারা গেছে। রঘুর নামে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। যদিও কাজ হচ্ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি দিল্লি পুলিশ মারফত রঘুর খোঁজ পায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মার্চে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৬.৯৫ শতাংশ, আগুন দাম খাদ্যপণ্যের]
খবর মেলে, তার মতো দেখতে একজনকে দিল্লির বুরারি এলাকায় দেখা গিয়েছে। এরপরই দিল্লি পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ৩৩ বছর পর পুলিশের জালে ধরে পড়ে ধর্ষণের সাজাপ্রাপ্ত আসামি রঘুনন্দন সিং।যার পর বিরাট চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে দিল্লি ও হাথরাসে।