shono
Advertisement

উত্তরপ্রদেশে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি ফাঁস! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি অন্তত আড়াই হাজারের

চাকরিও গিয়েছে অভিযুক্তদের।
Posted: 11:15 AM Jun 26, 2022Updated: 11:17 AM Jun 26, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। তদন্ত করছে সিবিআই। রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে গেল গেল রব তুলেছে গেরুয়া শিবির। এবার ফাঁস হল বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) বড়সড় নিয়োগ কেলেঙ্কারি। অভিযোগ, ভুয়ো মার্কশিট, ডিগ্রি দেখিয়ে চাকরি পেয়েছে কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা। তদন্ত একে একে সামনে আসছে যোগী রাজ্যের কেলেঙ্কারির ছবি।

Advertisement

অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে উত্তরপ্রদেশে শিক্ষাব্যবস্থায় জাঁকিয়ে বসেছে দুর্নীতি। ভুয়ো মার্কশিট আর ডিগ্রি দিয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছে কয়েক হাজার যুবক-যুবতী। যার মূলে পৌঁছতে গত তিন বছর ধরে তদন্ত চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষাবিভাগ এবং স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (STF)। তাদের যৌথ তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

[আরও পড়ুন: ১০ বছর পর GTA নির্বাচন, উৎসবের মেজাজে ভোটগ্রহণ শুরু শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ-সহ ৬ পুর ওয়ার্ডে]

ভুয়ো নথি ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছে এমন ২ হাজার ৪৯৪ জনকে চিহ্নিত করেছে STF। নিয়োগে জালিয়াতি করায় তাদের মধ্যে ২ হাজার ৪৯২ জনের চাকরি গিয়েছে। এফআইআর হয়েছে ২ হাজার ৩৪৭টি। নিজেদের ভাবমূর্তি বাঁচাতে এবার কড়া হাতে দুর্নীতি দমনে সক্রিয় যোগী প্রশাসন। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি।

তদন্তকারী কমিটির দাবি, এটা তো হিমশৈলের চূড়ামাত্র। গোটা রাজ্যজুড়ে সঠিকভাবে তদন্ত করা গেলে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) রাজ্যে এরকম হাজার-হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার হদিশ মিলবে। দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে যোগীরাজ্যের শিক্ষাদপ্তর। চাকরি পাওয়া সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম, মার্কশিট, চাকরির পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরও বিশেষ পোর্টালে নথিভুক্ত করতে শুরু করেছে। যাতে ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা না ঘটে।

[আরও পড়ুন: পাঞ্জাবে ঘুষের অভিযোগে ধৃত IAS আধিকারিকের ছেলের রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধে]

প্রসঙ্গত, বছর দুই আগে যোগীরাজ্যে আরেক নিয়োগ দুর্নীতির বিষয় প্রকাশ্যে এসেছিল। জানা যায়, ২৫টি স্কুলে একইসময়ে শিক্ষকতা করছেন একজন মহিলাই। মাস গেলে বেতন পেয়েছিলেন প্রায় কোটি টাকা। উত্তরপ্রদেশে প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অনলাইনে হাজিরা দিতে হয়। স্কুলে পৌঁছে তবেই এই হাজিরা দেওয়া যায়। তারপরেও কীভাবে এই জালিয়াতি চলল, তা বুঝে উঠতে হিমশিম খেয়েছিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement