shono
Advertisement

যোগীরাজ্যে স্কুলে এসে রিলস বানান দিদিমণিরা! লাইক, শেয়ার, সাবস্ক্রাইবে বাধ্য পড়ুয়ারা

অভিভাবকরা জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
Posted: 03:07 PM Sep 30, 2023Updated: 03:07 PM Sep 30, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়ুয়ারা ক্রমশ সামাজিক মাধ্যমে আসক্ত হয়ে পড়ছে, ক্ষতি হচ্ছে নাবালকদের মানসিক স্বাস্থ্যের। তাদের সেই পাকচক্র থেকে উদ্ধারের দায়িত্ব শিক্ষকদের। যদিও উলটে সেই মাস্টারমশাই, দিদিমণিরাই ফেসবুক, ইনস্টগ্রামে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। এমনকী স্কুলে এসে পড়ানোর বদলে রিলস বানাতে ব্যস্ত হচ্ছেন। পড়ুয়াদের সেই ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক স্কুলের এমনই এক সামজিক অবক্ষয়ের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। ওই শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

Advertisement

ছাত্র থেকে অভিভাবক, সকলেই ক্ষিপ্ত যোগীরাজ্যের অমরোহা জেলার সরকারি স্কুলের শিক্ষিকাদের উপরে। ছাত্ররা অভিযোগ করেছে, স্কুলে নিয়মিত রিলস ভিডিও বানান শিক্ষিকারা। এমনকী তাঁদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতেও বাধ্য করা হয় পড়ুয়াদের। হুমকির মুখে ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে পড়ুয়ারা। দীর্ঘদিন এই ঘটনা চলছে। অন্নু নামের এক ছাত্রের বক্তব্য, “শিক্ষকারা স্কুলে রিলসের জন্য ভিডিও রেকর্ড করেন। লাইক, শেয়ার করার জন্য চাপ দেন। না করলে মারধরের হুমকি দেন।” ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র অঙ্কিত জানিয়েছে, স্কুলে শিক্ষিকারা ছাত্রদের দিয়ে অন্য কাজও করান। বাসন ধোয়া, চা বানানোর মতো কাজ করানো হয়।

[আরও পড়ুন: ‘দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে’, ‘মিশন দিল্লি’র আগে ভারচুয়াল বার্তা দেবেন অভিষেক]

অভিভাবকদের দাবি, ইচ্ছা না থাকলেও প্রতি দিন শিক্ষিকাদের রিলসে লাইক করতে হয়। দিনের পর দিন চলা এই ঘটনায় তাঁরা ভীষণভাবে বিরক্ত। জেলাশাসকের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। ব্লক এডুকেশন আধিকারিক জ্ঞানেশ্বরী আরতি গুপ্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: ‘দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে’, ‘মিশন দিল্লি’র আগে ভারচুয়াল বার্তা দেবেন অভিষেক]

স্কুলে এসে ভিডিও বানানোর অভিযোগ উঠেছে মূলত সরকারি স্কুলের তিন শিক্ষিকা অম্বিকা গয়াল, পুনম সিং এবং নীতু কাশ্যপের বিরুদ্ধে। যদিও তাঁরা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই বিষয়ে অম্বিকার দাবি, “এমন অভিযোগের কথা জানা নেই। আমরা ছাত্রছাত্রীদের মন দিয়ে পড়াই। কখনও কখনও স্কুলে ভিডিও বানাই, ছাত্রছাত্রীদেরই শেখানোর জন্যই।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement