shono
Advertisement

বাবাকে খুনের পর প্রমাণ লোপাটের ‘আইডিয়া’ পেতে একশোবার ‘ক্রাইম পেট্রল’ দেখল কিশোর

যাবতীয় প্রমাণ লোপাট করার পর এই 'ক্রাইম পেট্রল'ই ধরিয়ে দিল তাঁকে, কীভাবে?
Posted: 04:36 PM Oct 29, 2020Updated: 04:36 PM Oct 29, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবার উপরে তীব্র রাগ। যার জেরে তাঁকে খুন (Murder) করল ছেলে। তারপর প্রমাণ লোপাটের ‘আইডিয়া’ পেতে বারবার দেখল জনপ্রিয় ক্রাইম সিরিয়াল! তারপর সেই আইডিয়া অনুযায়ী সমস্ত প্রমাণ নষ্টও করে ফেলল। কিন্তু শেষপর্যন্ত এত কিছু করেও পুলিশের হাত থেকে নিস্তার পায়নি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কিশোর। অপরাধীকে শনাক্ত করতে পুলিশকে সাহায্য করেছে তার মোবাইল ফোন। ‘ক্রাইম পেট্রল’ সিরিজটি সে একশোবারেরও বেশি দেখেছে দেখেই সন্দেহ গাঢ় হয় তদন্তকারী আধিকারিকদের। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে মথুরায় (Mathura)।

Advertisement

গত বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত সতেরো বছরের কিশোরকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর মা সঙ্গীতা মিশ্রকেও। কিন্তু ঠিক কেন বাবাকে খুন করল ছেলে? জানা যাচ্ছে, বাবার কাছে বকা খাওয়ার পরই রাগের মাথায় বাবা মনোজ মিশ্রের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র। তারপর অচেতন বাবার গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করে সে।

[আরও পড়ুন: দিল্লিতে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ! আশঙ্কার সুর কেজরি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গলায়]

এরপরই প্রমাণ লোপাটের ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। বারবার ‘ক্রাইম পেট্রল’ দেখে তৈরি করা হয় প্রমাণ লোপাটের ব্লু প্রিন্ট। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্কুটি করে মৃত ব্যক্তির দেহ পাঁচ কিলোমিটার দূরের জঙ্গল এলাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত। তারপর পেট্রল ও টয়লেট ক্লিনারের সাহায্যে পুড়িয়ে দেয়। এই কাজে তাকে আগাগোড়া মদত জোগায় তার মা।

৩ মে পুলিশ দেহ পেয়ে গেলেও তা শনাক্ত করতে কেউ আসেনি। মৃত মনোজ ছিলেন ইসকনের কর্মী। শেষপর্যন্ত তাঁদেরই জোরাজুরিতে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় ২৭ মে। পরে চশমা দেখে নিজেদের সহকর্মীর দেহ শনাক্তও করে ফেলেন ইসকনের কর্মীরা। পুলিশ খুনের তদন্ত শুরু করলে দেখা যায় মনোজের কিশোর পুত্র বারবার এড়িয়ে যাচ্ছে পুলিশকে। এরপর ছেলেটির মোবাইল খতিয়ে দেখেই সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে।

[আরও পড়ুন: অমিত শাহর কাছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নালিশ, ধনকড়ের আচরণে ক্ষুব্ধ শাসকদল]

কেন এতবার ‘ক্রাইম পেট্রল’ দেখেছে ছেলেটি? এই প্রশ্নকে ঘিরেই ক্রমে তাকে জেরা শুরু করা হয়। অবশেষে ভেঙে পড়ে নিজের অপরাধ কবুল করে ছেলেটি। খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মা-ছেলে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মনোজের এগারো বছরের মেয়েকে পাঠানো হয়েছে তার দাদু-ঠাকুমার কাছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement