শুভঙ্কর বসু: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগকে (Upper Primary) কেন্দ্র করে দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে সিবিআই (CBI) বা সিআইডি (CID) তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনটি গ্রহণ করল না। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এই মামলায় বেঞ্চ হস্তক্ষেপ করতে চায় না। এই সংক্রান্ত মূল মামলাটি যে বেঞ্চে চলছে সেখানেই আবেদন করতে হবে।
বর্তমানে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মূল মামলাটি চলছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। দিন কয়েক আগেই বিচারপতি তালুকদার ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে কোনও বাধা নেই। ইন্টারভিউ গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করে প্যানেল প্রস্তুত করতে হবে। একই সঙ্গে ইন্টারভিউতে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের স্বচ্ছ তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি যারা অভিযোগ জানাবেন তাদেরও তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি কর্তৃপক্ষকে।
[আরও পড়ুন: লাগাতার বিক্ষোভের জের, Madhyamik-এর মতোই HS’এও ১০০% পাশ করানোর সিদ্ধান্ত সংসদের]
আদালতের নির্দেশ মত আপাতত ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলছে। ইন্টারভিউ তালিকা নিয়ে যাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে তারা তা নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে অভিযোগও জানাচ্ছেন। এর মাঝেই নতুন করে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে সিবিআই বা সিআইডি তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হলে বেঞ্চ কী নির্দেশ দেয় এখন সে দিকেই নজর চাকরি প্রার্থীদের।
[আরও পড়ুন: কোভিডবিধি ভাঙলে সংক্রমণ বাড়বে, Night Curfew আরও কড়া করতে হুঁশিয়ারি নবান্নের]
গত ৯ তারিখ কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকে (Upper Primary) শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় জট কাটে। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যোগ্য আবেদনকারীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারবে রাজ্য সরকার। এই মামলায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে এই পথ সুগম করে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। তবে অভিযোগকারীদেরও গুরুত্ব দিয়েছে হাই কোর্ট। অভিযোগগুলির নিষ্পত্তির দায়িত্ব স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপরেই দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে কমিশনের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের তা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।