কৃষ্ণকুমার দাস ও সোমনাথ রায়: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় বড়া রায় সুপ্রিম কোর্টের। ১৪ হাজার ৫২ টি শূন্যপদে নিয়োগে আর কোনও বাধা নেই। কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে জানাল শীর্ষ আদালত। কোনও হস্তক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ফলে আর নিয়োগে বাধা রইল না। আপার প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। শুক্রবার সেই আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনে রায়ের ফলে দ্রুত নিয়োগ হবে বলে আশাবাদী চাকরিপ্রার্থীরা।
চলতি বছরের আগস্ট মাসে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক মামলা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের রায় ছিল, নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তার ভিত্তিতে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। উচ্চ আদালতের ওই রায়ের পর জট কাটিয়ে ১৪০৫২ শূন্যপদে নিয়োগ শুরু করেছিল এসএসসি। প্রায় ৮ বছর পর এই নিয়োগ হওয়ায় খুশির হাওয়া বয়ে গিয়েছিল চাকরিপ্রার্থী মহলে। কিন্তু এক পরীক্ষার্থী হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করায় তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ফলে থমকে যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া।
শুক্রবার এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। তাতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, হাই কোর্টের রায়ই বহাল। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। ফলে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে কোনও বাধা নেই আর। ১৪ হাজার ৫২ টি শূন্যপদ পূরণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে রাজ্য সরকার। পুজোর আগেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। মাঝে আইনি জটে তা থমকে গেলেও অর্ধেক কাজ এগিয়ে গিয়েছে। কাউন্সেলিং শেষে নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রস্তুতিও শেষ। এবার শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর নিয়োগ দ্রুত হবে বলে আশাবাদী সকলে।