সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: 'ব্যক্তিগত কারণ' দেখিয়ে ইউপিএসসির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মনোজ সোনি (Manoj Soni)। ২০২৯ সালের মে মাসে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি। শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেদকারকে (Puja Khedkar) ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। তবে সেই বিতর্কের সঙ্গে যে মনোজ সোনির পদত্যাগের কোনও সম্পর্ক নেই, সেই দাবি করেছে দপ্তরের সূত্র।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ হিসাবে সুপরিচিত মনোজ তারও আগে গুজরাতের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন অন্তত ৯ বছর। এর মধ্যে বরোদার মহারাজা সওয়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি উপাচার্য হিসাবে আসেন ২০০৫ সালে। সেই সময়ে মনোজই ছিলেন দেশের সবচেয়ে কমবয়সি উপাচার্য।
[আরও পড়ুন: দোকানে থাকতে হবে মালিকের নাম, এবার কানোয়ার যাত্রার সব রুটেই নির্দেশিকা জারি যোগীর]
২০২৩ সালের মে মাসে ইউপিএসসি বোর্ডের দায়িত্ব নেন মনোজ। তবে ২০১৭ সাল থেকেই তিনি বোর্ডে রয়েছেন। তার আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ হিসাবে গুজরাটের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ছিলেন তিনি। ২০০৫ সালে তিনিই ছিলেন দেশের সবচেয়ে কমবয়সি উপাচার্য। ইউপিএসসি চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যেই তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ইস্তফা জমা দিলেন 'ব্যক্তিগত কারণ' দেখিয়ে। যদিও দপ্তরের সূত্র বলছে, পূজা খেদকার বিতর্কের সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের যোগ নেই, কিন্তু গুঞ্জন তেমনই।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই পূজার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে ইউপিএসসি। নাম-পরিচয় গোপন করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে পূজাকে নোটিস পাঠিয়েছে সংস্থা। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। নির্ধারিত সীমার বেশিবার পরীক্ষা দিতে নাম, পরিচয় ও বয়স বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পূজার বিরুদ্ধে। এই মর্মেই পূজাকে ইউপিএসসি-র তরফে নোটিস পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল করা হবে না। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আর কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষাতে যাতে অভিযুক্ত বসতে না পারে সে বিষয়েও পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে চাকরি হারানোর আশঙ্কা আরও প্রবল হতে চলেছে পূজার জন্য। এই পরিস্থিতিতে ইউপিএসসির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মনোজ।