সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় চার মাস ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। প্রচুর রক্ত ঝরলেও হিংসা থামার কোনও লক্ষণ নেই। এহেন পরিস্থিতিতে কিয়েভের জন্য নতুন সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে আমেরিকা। ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, ইউক্রেনের কাঁধে বন্দুক রেখে আসলে লড়াই করছে ওয়াশিংটন ও ন্যাটো জোট।
শনিবার ইউক্রেনকে আরও ৮২০ মিলিয়ন ডলার (৮২ কোটি) মূল্যের হাতিয়ার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) । ওই প্যাকজে থাকছে ‘সারফেস টু এয়ার’ মিসাইল। অর্থাৎ এবার রুশ যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারগুলিকে আরও সহজে নিশানা করবে জেলেনস্কি বাহিনী। শুধু তাই নয়, এই নয়া মার্কিন মিসাইল সিস্টেম রুশ ক্রুজ মিসাইলগুলিকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। বলে রাখা ভাল, রাজধানী কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে একর পর এক মিসাইল হামলা চালাচ্ছে রুশ ফৌজ। পেন্টাগন সূত্রে খবর, সবমিলিয়ে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনকে প্রায় ৭৬০ কোটি ডলারের সামরিক মদত দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: চরমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, সংঘাতের আবহেই পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ মোদির]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইউক্রেনকে মিসাইল, রকেট লঞ্চার ও কামানের মতো অস্ত্র দিয়ে আসছে আমেরিকা। রাশিয়ার (Russia) হুমকি সত্ত্বেও অবস্থান বদলায়নি ওয়াশিংটন। গত সপ্তাহে মাদ্রিদে ন্যাটো সামিটেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে ‘ইউক্রেনকে সমস্ত ধরনের সাহায্য করবে আমেরিকা।’ অর্থাৎ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় ফৌজকে যুদ্ধ লড়তে মদত দেবে আমেরিকা তা স্পষ্ট। বিশ্লেষকদের ধারণা, আমেরিকা ও ন্যাটোর মদত ছাড়া বিশাল রুশ ফৌজের সামনে টিকতে পারত না ইউক্রেনের সেনা। আসলে, সিরিয়ার মতোই এখানে ইউক্রেনকে বোড়ে করে লড়াই করছে দুই মহাশক্তি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টল্টেনবার্গ (NATO Cheif)। তারপরেই একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ বেশ কয়েক বছর ধরে চলতে পারে। সেই জন্য আমাদের সকলের প্রস্তুত থাকা দরকার। ইউক্রেনকে সহায়তা করা থেকে পিছিয়ে আসলে চলবে না।” এছাড়াও স্টলটেনবার্গ বলেছেন, “দিনে দিনে যুদ্ধের ব্যয়ও বাড়বে। শুধু অস্ত্র বা সামরিক সাহায্য নয়, আরও আনুসঙ্গিক জিনিস দিয়েও সাহায্য করতে হবে। জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্যের মতো আরও নানা ক্ষেত্রে সাহায্য করতে হবে ইউক্রেনকে।” এই কাজে প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে, সে কথা বলাই বাহুল্য। তবে সেই ব্যয় করতেও প্রস্তুত ন্যাটো।