সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) চিনের (China) আগ্রাসন ছিল একেবারে পূর্ব পরিকল্পিত। মার্কিন কংগ্রেসের এক শীর্ষস্থানীয় কমিটির দাবি তেমনটাই। তারা জানিয়েছে, রীতিমতো আটঘাঁট বেঁধেই এগিয়েছিল বেজিং। হতাহতের বিষয়টিও মাথায় ছিল তাদের। প্রসঙ্গত, সেই সময় চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে (Chinese aggression) ভারতের কুড়িজন জওয়ান শহিদ হন। চিনেরও বহু সেনার মৃত্যু হয়। ভারতের হিসেবে অন্তত ৪৩ জন লালফৌজের সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল ওই সংঘর্ষে। যদিও চিনের তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা রিভিউ কমিশন’ তথা USCC-এর রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, বেশ কিছু প্রমাণ মিলেছে যা থেকে পরিষ্কার, বেজিং পরিকল্পনা করেই ওই আগ্রাসন দেখিয়েছে। এমনকী, সেনাদের হতাহত হওয়ার সম্ভাবনার কথাও মাথায় ছিল তাদের। কিন্তু এর পিছনে আসল মতলব কী ছিল, সেটা স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই সীমান্তরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থিত ভারতীয় সেনাদের জন্য রাস্তা নির্মাণ ঠেকাতেই হয়তো সংঘর্ষের রাস্তা বেছে নিয়েছিল চিন। ফলে প্রায় ৪৫ বছর পর ফের গুলি বিনিময় হয়েছিল ভারত ও চিনের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে ‘আপত্তিকর’ কার্টুন! শিল্পীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা]
মার্কিন রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সংঘর্ষের কয়েক সপ্তাহ আগেই চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই এক বিবৃতিতে দাবি করেছিলেন ওই অঞ্চলে স্থিতাবস্থা ফেরাতে সংঘর্ষ দরকার। তাছাড়া চিনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, ভারত যদি মার্কিন-চিন দ্বন্দ্বের মধ্যে নাক গলায় তাহলে বেজিংয়ের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক ও আর্থিক দুই সম্পর্কই বড়সড় ধাক্কা খাবে।
এখনও লাদাখের সীমান্ত থেকে সেনা সরায়নি চিন। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। উলটে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে একাধিক নির্মাণকাজ শুরু করেছে তারা। যা নিয়ে ভারতের অসন্তোষ অব্যাহত। প্রসঙ্গত, কেবল ভারত নয়, অতিমারীর সময়ও জাপান, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলির বিরুদ্ধেও আগ্রাসন দেখিয়েছে বেজিং।