সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের পর এবার পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে সরব হল ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশন (United States Commission on International Religious Freedom)। পাক ভূমিতে সংখ্যালঘুদের উপর রীতিমতো নিপীড়ন হচ্ছে। অথচ সরকার তা রুখতে কিছুই করছে না বলে মনে করছে মার্কিন কমিশনটি।
USCIRF-এর বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ‘অতিমাত্রায় সীমাবদ্ধ’। ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশন বলছে, পাকিস্তানে প্রতিবছর অন্তত এক হাজার মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়। এছাড়াও ঈশ্বর অবমাননা আইনের অজুহাতে বহু মানুষকে জেলবন্দি করে রাখা হয়। তবে, মার্কিন কমিশনটি সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন শিখ ও হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তকরণ নিয়ে। পাশাপাশি নিজেদের ধর্ম পালনের জন্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হয় বলেও জানিয়েছে USCIRF। এমনকী, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থানে প্রশাসন এবং আম নাগরিক মিলিতভাবে আক্রমণ করে বলেও জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতে মাত্র একমাসেই সাত হাজার টুইটার অ্যাকাউন্ট! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার]
পাকিস্তানে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা সর্বজনবিদিত।বিশেষ করে সিন্ধ প্রদেশে হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার ঘটনা আকছার ঘটছে। সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সিন্ধ প্রদেশে। বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও মেলেনা সুবিচার। বিগত কয়েক দশকে সিন্ধ থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছেন বহু হিন্দু ও শিখ পরিবার। ২০১৬ সালে সিন্ধ প্রদেশের আইনসভায় জোর করে ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে বিল পাশ হয়েছিল। তার পরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আশ্বাস কোনও কাজে আসছে না। সব মিলিয়ে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের যে প্রত্যহ নির্যাতনের শিকার হতে হয় তা স্পষ্ট। বিশেষ করে সিন্ধ প্রদেশে শিখ ও হিন্দু যুবতীদের অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করা হয়। এই সব অত্যাচারের কাহিনী পর্যবেক্ষণ করে ধর্মীয় স্বাধীনতার সূচকে পাকিস্তানকে আরও একধাপ নামিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে USCIRF। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে ভারতে মুসলিমদের স্বাধীনতা নিয়েো উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল এই কমিশনটি।
The post শিখ ও হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তকরণ! মার্কিন কমিশনের রোষের মুখে পাকিস্তান appeared first on Sangbad Pratidin.