shono
Advertisement

Kabul Blast: প্রশাসনের ব্যর্থতা! প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পদত্যাগের দাবিতে সরব মার্কিন জনতা

কেন বাইডেনের ইমপিচমেন্ট হবে না? প্রশ্ন রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের।
Posted: 02:01 PM Aug 27, 2021Updated: 05:02 PM Aug 27, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাবুল বিমানবন্দরে (Kabul Airport) আইএস জঙ্গি হানায় ১৩ মার্কিন সেনা-সহ ১০০ জনের মৃত্যুর পর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) পদত‌্যাগের দাবি জোরাল হল। রাষ্ট্রসংঘে আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ‌্যালি (Nicky Hally) বৃহস্পতিবার টুইট করে বলেন, “বাইডেন কি এবার পদত‌্যাগ করবেন, নাকি তাঁকে সরানো হবে? তবে বাইডেন সরে গেলে যদি কমলা হ‌্যারিস প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে তা দশগুণ খারাপ হবে। ভগবান আমাদের রক্ষা করুন।”

Advertisement

নিক্কির এই টুইটের পরে রিপাবলিকান পার্টির একাধিক কংগ্রেস ম্যান টুইট করে বাইডেনের পদত‌্যাগ অথবা ইমপিচমেন্ট দাবি করতে থাকেন। বাইডেনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কমলা হ‌্যারিস ও বিদেশসচিব অ‌্যান্টনি ব্লিঙ্কেনেরও পদত‌্যাগ দাবি করেন। রিপাবলিকান সাংসদরা বলতে থাকেন, যদি একটা ফোনের জন‌্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হয়ে থাকে, তাহলে কেন বাইডেনের ইমপিচমেন্ট হবে না।

[আরও পড়ুন: ৩ হাজারে মিলছে জল, ভাতের দাম সাড়ে ৭ হাজার টাকা, চরম দুর্ভোগ কাবুল বিমানবন্দরে]

আফগানিস্তান থেকে যেভাবে মার্কিন সেনা প্রত‌্যাহার করা হয়েছে, তা বাইডেনের চরম গাফিলতি বলে রিপাবলিকান দলের নেতারা জানাতে থাকেন। বস্তুত, আফগানিস্তান (Afghanistan) ইস্যুতে ব‌্যর্থতার জন‌্য রবিবারই বাইডেনের পূর্বসূরি ট্রাম্প তাঁর পদত‌্যাগ চেয়েছিলেন। রিপাবলিকান কংগ্রেস ম‌্যানরা অবিলম্বে মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশন দাবি করলেও স্পিকার ন‌্যান্সি পেলোসি তা উড়িয়ে দিয়েছেন।

আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার মৃত্যু শেষবার হয়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তার কয়েক সপ্তাহ বাদেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালিবানের সঙ্গে চুক্তি করেন, যাতে মার্কিন বাহিনীর উপর তারা কোনও হামলা না করে। ফলে, বৃহস্পতিবার কাবুলের বিস্ফোরণে ১৩ মার্কিন সেনার মৃত্যু বাইডেনকে চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে। তালিবানের হাতে যেভাবে আফগানিস্তানকে তুলে দেওয়া হয়েছে, তাতে গোটা বিশ্বের সঙ্গে মার্কিন জনতার একটি বড় অংশ বাইডেনের উপর ক্ষুব্ধ। কাবুলের বিস্ফোরণ সেই ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

[আরও পড়ুন: Taliban Terror: ‘পাকিস্তান আমাদের জন্ম দিয়েছে, ওটাই দ্বিতীয় বাড়ি’, জানিয়ে দিল তালিবান মুখপাত্র]

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল। মূলত বিমানবন্দর চত্বরে জোরালো বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় তালিবান (Taliban Terror) অধিকৃত আফগানিস্তান ছাড়তে চাওয়া কয়েক হাজার আফগান নাগরিক জড়ো হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। আফগান নাগরিকদের নিয়ে মার্কিন বিমান ওড়ার আগেই পরপর বিস্ফোরণ ঘটে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিস্ফোরণে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনা (US Troop) জওয়ান রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement