সুকুমার সরকার, ঢাকা: কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের (Bangladesh) নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল ভারত। বাংলদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেবে বলে বার্তা দিয়েছিল নয়াদিল্লি (New Delhi)। এবার ভারতের পথেই হেঁটে একই বার্তা দিল আমেরিকা। বাংলাদেশে সরকারের ভবিষ্যৎ দেশবাসীর দ্বারাই নির্ধারিত হওয়া উচিত। একইসঙ্গে আসন্ন এই নির্বাচন ওয়াশিংটন কোনও পক্ষ নেবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ভারত (India) ও আমেরিকার মধ্যে পঞ্চম দফার ‘টু প্লাস টু’বৈঠক হয়। সোমবার দিল্লির সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কেমন হবে তা দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। বাংলাদেশে পরবর্তী সরকার কারা গঠন করবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণেরই নেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে আমেরিকার কোনও পক্ষ নেই। কোনও বিশেষ দলকে তারা সমর্থন করে না। আমেরিকার এ বক্তব্য চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে বিএনপিকে। কারণ আসন্ন এই নির্বাচনে বিএনপির নেতারা মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন।
[আরও পড়ুন: আতঙ্কই হাতিয়ার বিএনপি-র, বাংলাদেশে ‘অগ্নিসন্ত্রাস’, নিশানায় যাত্রীবাহী যান]
উল্লেখ্য, তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে দেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি (BNP) ২০১৪ ও ২০১৯-এর নির্বাচন বর্জন করে। সেই সময় আমেরিকা-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই নির্বাচন একপেশে, একতরফা ও গ্রহণযোগ্য নয় বলে অভিযোগ তোলে। যা বিএনপিকে নির্বাচন বর্জনে উৎসাহিত করে। এর পর থেকে মাসের পর মাস জুড়ে বিএনপি অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিতে থাকে। যার জেরে উত্তাল হয়ে রয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ঘটছে প্রাণহানিও। এবার নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে ভারতের বক্তব্যকে মান্যতা দিল আমেরিকা (US)।
বলে রাখা ভালো, কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে এবং সেদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা অন্য কোনও দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।” বাগচি আরও বলেন, “ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী হিসাবে, আমরা তাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি এবং স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল জাতি গঠনে ঢাকার লক্ষ্যে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।”এই বক্তব্যের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের ‘পাশে দাঁড়িয়ে’কৌশলী বার্তা দিল ভারত।