সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: একেই বলে ‘ইটের বদলা পাটকেল’৷ রাম মন্দিরের বিরোধিতা করে আবারও ভারতে নাশকতা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জইশ নেতা মাসুদ আজহার৷ উত্তরে সোজাসুজি তাকে ‘খতম’ করার পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন যোগী আদিত্যনাথ৷ রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বললেন, দ্বিতীয়বার সার্জিক্যাল স্টাইকেই খতম হয়ে যাবে জইশ প্রধান৷
[নৌসেনা দিবসে ‘ইন্ডিয়ান নেভি’ সম্পর্কে এই ১০টি তথ্য জানলে আপনার গর্ব হবে]
রাম মন্দিরের দাবিতে সম্প্রতি অযোধ্যায় ধর্মসভা করেছে আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি৷ এর বিরোধিতায় সরব হয়েছে পাঠানকোট হামলার মূলচক্রী তথা জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার৷ ভারতে নাশকতার হুমকি দিয়ে একটি ন’মিনিটের ভিডিও প্রকাশ করেছিল মাসুদ আজহার৷ রাম মন্দিরের বিরোধিতা করে যেখানে তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, শীঘ্রই ওই বিতর্কিত জমিকে মুসলিমদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত৷ নাহলে ‘কুরবানির’ জন্য তৈরি রয়েছে বহু মানুষ৷ মঙ্গলবার রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মাসুদ আজহারের এই হুঁশিয়ারিরই প্রত্যুত্তর দিলেন যোগী আদিত্যনাথ৷ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ২০১৬-র ২৮ সেপ্টেম্বরের মতো, ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের মাটিতে দ্বিতীয়বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালালেই খতম হয়ে যাবে আজহার৷ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে পাঠানকোট হামলার মাস্টারমাইন্ড৷
[ভোটের জন্য নিরীহ পেঁচাদেরও ছাড়ছেন না তেলেঙ্গানার নেতারা]
২০১৬-র পাঠানকোট হামলার পর থেকেই মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত৷ নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়ে গত বছরের জানুয়ারি মাসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয়ক প্রস্তাব পেশ করে আমেরিকা৷ এই প্রস্তাবে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া সহমত পোষণ করলেও, তা মেনে নেয়নি চিন৷ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে যেকোনও প্রস্তাবে ভেটো জারি করার ক্ষমতা রয়েছে চিনের। সেই বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করেই মার্কিন প্রস্তাব খারিজ করে দেয় পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু৷ গত বছরের আগস্ট মাসে প্রথমবার প্রয়োগ করা ভেটোর মেয়াদ শেষ হলে, একই পদ্ধতিতে মাসুদ ইস্যুকে পুরোপুরি হিমঘরে পাঠিয়ে দেয় বেজিং৷ নিজেদের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েই বারবারই কুখ্যাত জঙ্গি মাসুদ আজহারকে এখনও আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শি জিনপিং প্রশাসন। ফলে নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি সদস্য রাষ্ট্র মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার প্রস্তাবে একমত হলেও, তা কার্যকর করা যায়নি৷
