সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিএএ (CAA) কার্যকর নিয়ে চিন্তিত আমেরিকা (USA)। কীভাবে ভারতে এই আইন বলবৎ করা হচ্ছে সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানাল মার্কিন বিদেশ দপ্তর। তবে সিএএ বলবৎ করার ঘোষণায় খুশি আমেরিকার হিন্দুরা।
২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন আনে কেন্দ্রের মোদি সরকার। পাশ হয়ে যাওয়ার পরে ৪ বছর কেটে গেলেও করোনার জেরে এই আইন কার্যকর করা যায়নি। লোকসভা ভোটের আবহে গত সোমবার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সিএএ চালু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তার পরেই এই আইনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপিবিরোধী দলগুলো। এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও জানান, তাঁদের রাজ্যে সিএএ কার্যকর করতে দেবেন না। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) কথায়, সিএএ নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা।
[আরও পড়ুন: পিছন থেকে ধাক্কা মারা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে! দুর্ঘটনা নিয়ে বড় আপডেট এসএসকেএমের]
সিএএ নিয়ে কেন এত বিতর্ক? বিরোধীদের দাবি, এই আইনে যেহেতু মুসলিমদের উল্লেখ নেই সেই জন্য সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুরা ব্যাপক হারে ভারতে চলে আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। তাছাড়া, অসমে থাকা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদেরও (বাংলাভাষী) নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে। ফলে অসমের জনবিন্যাস বদলে যেতে পারে। বিপন্ন হবে স্থানীয় ভাষা, সংস্কৃতি। সিএএর পরে দেশজুড়ে এনআরসি কার্যকর করে অনেকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে কেন্দ্র, এমনটাও অভিযোগ উঠেছে বিরোধীদের তরফে।
এই প্রেক্ষাপটেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “গত ১১ মার্চ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তিত। ভারতে কীভাবে এই আইন কার্যকর হবে, সেদিকে কড়া নজর রাখছি। গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম ধর্মীয় স্বাধীনতা আর সকল সম্প্রদায়ের সমানাধিকার।” তবে সিএএ কার্যকর হতে খুশি আমেরিকার হিন্দুরা। তাঁরা এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।