সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইনশৃঙ্খলার রক্ষকবচ যিনি, সমাজকে যিনি সভ্যতার পাঠ দেন, সেই তিনিই হয়ে উঠলেন ঘাতক। মার্কিন (America) মুলুকে মদ্যপ অবস্থায় নিজের স্ত্রীকে গুলি করে খুন করলেন এক বিচারপতি। সহধর্মিনীকে হত্যার পর ফোন করে সহকর্মীকে তিনি জানান, আগামিকাল আদালতে আসা হবে না, পুলিশি হেফাজতে থাকব। বাস্তবিক স্ত্রীকে হত্যায় অভিযুক্তকে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারির সময় অবাক বনে যান তদন্তকারীরা। কারণ বিচারকের বাড়ি থেকে রীতিমতো ‘অস্ত্রের ভাণ্ডার’ মিলেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭২ বছরের অভিযুক্ত বিচারপতির নাম জেফ্রি ফার্গুসন। তিনি অরেঞ্জ কান্ট্রি সুপিরয়র আদালতের বিচারপতি। হত্যা করেছেন স্ত্রী শার্লিকে (৬৫)। ঘটনার দিন বাড়ির কাছেই একটি রেস্তোরায় খেতে যাওয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বচসায় জড়ান ফার্গুসন। শার্লির আইনজীবী জানিয়েছেন, তর্ক চলাকালীন এক সময় শার্লির দিকে বন্দুক দিয়ে গুলি ছোড়ার ভঙ্গি করেন ফার্গুসন। শার্লি পালটা বলেন, আসল বন্দুক দিয়েই খুন করো। এর পরেই কোমর থেকে বন্দুক বের করে স্ত্রীর বুক লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন বিচারপতি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শার্লির।
[আরও পড়ুন: সুনাকের মুখে রাম নাম, ‘রাম কথা’ অনুষ্ঠানে ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে অকপট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী]
ফার্গুসন নিজেই আপতকালীন নম্বর ৯১১-এ ফোন করে জানান, আমার স্ত্রী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পুলিশ বিচাপতির বাড়ি পৌঁছালে চমকে যায়। শার্লির দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৪৭টি আগ্নেয়াস্ত্র। ২৬ হাজার রাউন্ড গুলি। এর পরেই মার্কিন পুলিশ গ্রেপ্তার করে ফার্গুসনকে। আদালতে তোলা হয় তাঁকে। ২০১৫ সাল থেকে বিচারপতি পদে থাকা ফার্গুসন আদালতে দাঁড়িয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর আইজীবীর মন্তব্য, শার্লি মারা গিয়েছেন ঠিকই। তবে স্ত্রীকে খুনের অভিসন্ধি ছিল না তাঁর মক্কেলের। এটা নিছক দুর্ঘটনা। আদালত এখনও পর্যন্ত মামলার রায় দেয়নি।