সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বেশ কয়েকটি এলাকায় নিজেদের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধ করল আমেরিকা (America)। ওই এলাকাগুলিতে নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে বলে দাবি হোয়াইট হাউজের। ভারত ভ্রমণ বিষয়ক নির্দেশাবলি বরাবরই রয়েছে আমেরিকার। সম্প্রতি সেটি সংশোধন করেছে মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর। ভারতের কোন কোন এলাকায় মার্কিন নাগরিকদের যেতে বারণ করা হল?
এর মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir), মণিপুরের (Manipur) মতো দুই রাজ্য। এছাড়াও ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এবং ছত্তিশগড়, ওড়িশা-সহ ভারতের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের একাধিক অংশ, যেখানে মাওবাদীরা সক্রিয় রয়েছে। মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অপরাধ প্রবণতা এবং জঙ্গি তৎপরতা তথা নাশকতার কারণে ভারতে সতর্কতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কিছু এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে নির্দেশিকায়। মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণের সুরক্ষার নিরিখে সামগ্রিকভাবে ভারতকে লেভেল ২-এ রাখা হয়েছে। কিন্তু দেশের বেশ কয়েকটি অংশকে লেভেল ৪-এ রাখা হয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছে কাশ্মীর, মণিপুর, মধ্য এবং পূর্ব ভারতের কিছু এলাকা।
[আরও পড়ুন: সংসদে দাঁড়িয়ে ‘স্টুপিড’ কটাক্ষ, কংগ্রেস সাংসদকে নিশানা করে বিতর্কে অভিজিৎ]
মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, "কাশ্মীরে যাবেন না (ব্যতিক্রম পূর্ব লাদাখ এবং লেহ) সন্ত্রাসবাদ এবং নাগরিক সমাজের অস্থিরতার কারণে। সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে সশস্ত্র সংর্ঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদের কারণে মধ্য ও পূর্ব ভারত এবং হিংসা ও অপরাধের কারণে মণিপুরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে মার্কিন নাগরিকদের।" মার্কিন ভ্রমণ উপদেষ্টা আরও বলেছেন, "ভারতে ক্রমবর্ধমান অপরাধগুলির একটি হল ধর্ষণ। যৌন নিপীড়নের মতো হিংসাত্মক অপরাধ প্রায়ই ঘটছে পর্যটন স্থান এবং অন্যান্য এলাকায়। দুষ্কতীরা কোনও সতর্কতা ছাড়াই আক্রমণ করতে পারে। পর্যটন স্থান, পরিবহণ হাব, বাজার, শপিং মল টার্গেট করা হচ্ছে তারা।' সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের অন্তর্ভূক্ত করা হোক’, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি সুকান্তর]
বলা বাহুল্য, হোয়াইট হাউজের এই নির্দেশিকায় মুখ পুড়ল দিল্লির। এমনিতে জঙ্গিবাদ, রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে সতর্কতা নতুন নয়। কিন্তু গত কয়েক মাসে দেশের একাধিক শহরে বিদেশি পর্যটকদের হেনস্থা হওয়ার এমনকি বিদেশিনীদের ধর্ষিত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। এই কারণেই এবার অতি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছে আমেরিকা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।