সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানো গণধর্ষণে (Bilkis Bano Gang Rape) দোষীদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। কেন দোষীদের শাস্তি মকুব করা হল, সেই প্রশ্ন তুলে বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন সাধারণ মানুষ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ‘মার্কিন কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ও (USCIRF)। মার্কিন কমিটির তরফে এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে জানানো হয়েছে, যেভাবে বানোকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তা ‘অন্যায়’।
২০০২ সালে বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে এগারোজনকে যাবজ্জীবন ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসেই তাদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে দেয় গুজরাট সরকার। ধর্ষকদের মালা পরিয়ে মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে। দোষীদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিলকিস বানো স্বয়ং বলেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। সাধারণ মানুষও আদালতকে দায়ী করতে থাকেন। এহেন পরিস্থিতিতে মার্কিন ওই সংস্থার মন্তব্যে গুজরাট সরকার তথা বিজেপির উপরে চাপ বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে রাধাকৃষ্ণের ‘অশ্লীল’ ছবি, নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘বয়কট আমাজন’]
ওই সংস্থার তরফে যে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়, ”২০০২ গুজরাট দাঙ্গায় আক্রান্ত মুসলিমদের খুন ও একজন মুসলিম অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন আসামিকে মেয়াদ শেষের আগেই অন্যায্য ভাবে যেভাবে মুক্তি দেওয়া হল USCIRF তার কড়া নিন্দা করছে।” তাদের দাবি, গুজরাট দাঙ্গার দোষীদের কারাবন্দি করে রাখতে না পারার এই ব্যর্থতা আসলে ‘বিচারের প্রহসন’। সেই সঙ্গে এও দাবি করা হয়েছে, সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতনকারীদের এভাবেই বরাবর অব্যাহতি দেওয়া হয় ভারতে। তাদের এমন বিস্ফোরক মন্তব্য যে গেরুয়া শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলবে তা নিশ্চিত।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ওই সংস্থাকে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। তাদের সেই রিপোর্টকে উড়িয়ে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এখন দেখার বিলকিস বানো নিয়ে মার্কিন সংস্থার দাবি সম্পর্কে মোদি সরকার কী প্রতিক্রিয়া দেয়।