সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে নাম না করে রাশিয়ার (Russia) প্রতি কড়া বিবৃতি প্রকাশ করলেন জি-২০ সম্মেলনে (G-20 Summit) অংশগ্রহণকারী দলের রাষ্ট্রপ্রধানরা। শনিবার নয়াদিল্লির বৈঠকে ভারতের সুরেই সুর মেলালেন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা। যৌথ ঘোষণায় তাঁরা সকলেই সাফ জানালেন, ইউক্রেনে (Ukraine) শান্তি চান সকলে। পরোক্ষে তাঁদের বার্তা, যদি কেউ ‘পরমাণু অস্ত্র’ প্রয়োগ কিংবা বলপ্রয়োগ করে অন্যের এলাকা দখল করার স্ট্র্যাটেজি নেয়, তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। সকলের এক বক্তব্য, এটা যুদ্ধের সময় নয়। আর জি-২০’র মতো বড় মঞ্চ থেকে বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রের এই যৌথ বার্তা রাশিয়াকে নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও কোণঠাসা করল।
মাস দুই আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের হুমকি দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর সেই হুমকির পরই রাশিয়ার মিত্রদেশ বেলারুশে (Belarus) পরমাণু অস্ত্র মজুতের কথা জানায় ক্রেমলিন। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন কিংবা বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো – কেউই অস্ত্রের পরিমাণ নিয়ে মুখ খোলেননি। রাশিয়ার এই পদক্ষেপ নিয়ে আমেরিকা, ন্যাটো (NATO) জোটও নিশ্চিতভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। যদিও ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ তোপ দেগে বিবৃতি দেন, ”রাশিয়ার এই পদক্ষেপ ভয়ংকর ও বেপরোয়া।” উল্লেখ্য, ইউক্রেনের একেবারে সীমান্ত লাগোয়া দেশ এই বেলারুশ। সেখানে পরমাণু অস্ত্র (Nuclear weapon) মজুত যে আসলে ইউক্রেনকেই হামলার হুঁশিয়ারি, তা আন্তর্জাতিক কূটনীতি সম্পর্কে সামান্য খোঁজখবর রাখার লোকের বুঝতে বাকি থাকে না।
[আরও পড়ুন: ‘সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার’, রাজ্যপালের হুঁশিয়ারির পালটা কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর]
এই পরিস্থিতিতে জি-২০ বৈঠকে রাষ্ট্রনেতাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হল, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে সার্বভৌমত্ব, একতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর সকলে। শান্তি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। অশান্তির আবহে সবসময়েই জটিলতা এড়ানো উচিত বলে ঐক্যমত্য সকলে। এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ – এই পন্থায় প্রতিবেশীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। ইউক্রেনে নিরবচ্ছিন্ন শান্তি বজায়ের পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে এই যৌথ বিবৃতিতে। ভূখণ্ড দখলের ‘ষড়যন্ত্রে’ পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োগ পরিকল্পনায় নাম না করে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে রাশিয়াকে। যা এই বৈঠকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।